আজ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বড়সর পদক্ষেপ নিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।স্বাস্থ্যসাথী প্রত্যাখ্যান-অপব্যবহার থেকে রোগী রেফারের সমস্যা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘সবকিছু আমাকে বলে দিতে হবে? নিজের কাজ নিজেকে বুঝে নিতে হবে।
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এদিন হাসপাতালের রেফার রোগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি হাসপাতালের রেফার রোগে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।জেলা থেকে এত রেফার হচ্ছে কেন? প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন জেলার হাসপাতালগুলি থেকে গর্ভবতীদের অন্যত্র রেফার করে দেওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকায় এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন,”এবার থেকে যে রেফার করবে দায়িত্ব তাঁর। যে হাসপাতালগুলি থেকে রেফার করা হবে গর্ভবতীর মৃত্যু হলে দায়িত্ব তাঁদের। কেন এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় রেফার? জেলা থেকে গর্ভবতীদের রেফার করে দেওয়া হচ্ছে কেন?”
রেফারের জেরে একাধিক ক্ষেত্রে গর্ভবতীদের মৃত্যুর খবর সামনে আসায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে চিকিত্সকদের একাংশের তীব্র সমালোচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চিকিত্সায় গাফিলতি অপরাধ। গর্ভবতীদের কেন রেফার করা হচ্ছে? রেফারে প্রবণতা কেন কমছে না? প্রয়োজন হলে সুপারকে বলে ব্যবস্থা করতে হবে।” হাসপাতালগুলির ‘রেফার রোগ’ কমাতে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে আরও কড়া হতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ”জেলার ডিএম-দের বলব, প্রতি মাসে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে মিটিং করবেন। যারা সমস্যা করছে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিন। তারপর স্বাস্থ্য দফতরকে জানান।”
ঠিক কী কী সমস্যা উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারাই মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, প্রথমে যারা কার্ড নিয়ে যেতে ভোলে তাদের কাছ থেকে টাকা জমা নেওয়া হয়। নাহলে চিকিত্সা হয় না। এমনকী, মৃতদেহ পর্যন্ত আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। অনেকে আবার বলে বলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেয় না। শুনে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, এখানে কারও কথা শোনার প্রয়োজন নেই। সোজা ব্যবস্থা নিন। অর্থাত্ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নেতা-মন্ত্রীকে ধরেও কাজ হবে বলে ইঙ্গিত দিলেন এদিন তিনি।
আরো পড়ুন:Mamata Banerjee:নবান্নে আজ গুরুত্বপূর্ন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী