নাগরিকত্ব নিয়ে আবারও সরগরম রাজ্য রাজনীতি। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সভা থেকে এবার নাগরিকত্ব ইস্যুতে ফের মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।এদিন মমতা বলেন, ‘বিজেপি কি এমন করল যে মিথ্যা কথা বলে লোকসভার সিট নিল! বিধানসভার সিট নিল! কাজ কিছু করেছে? একটাও করেছে? নির্বাচন এলেই তখন মনে পরে ক্যাঁ ক্যাঁ ক্যাঁ। মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।’পাহাড়ি, মতুয়া, রাজবংশীদের নিয়ে বাংলা ভাগের চেষ্টা করে বিজেপি এরকমই মন্তব্য করেন তিনি। আরও বলেন, ‘নদিয়ার রানাঘাটের সাংসদ কিছু করেছেন আপনাদের জন্য? তাহলে ভোট দিলেন কেন? নদিয়ার মানুষ ভাল, শান্তিপূর্ণ মানুষ। নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর, শান্তিপুরের ধর্মপ্রাণ, উদ্বাস্তু মানুষেরা শান্তিপ্রিয়। তাঁদের বিভ্রান্ত করছে’।

পাশাপাশি মতুয়াদের উদ্দেশ্যে মমতা এদিন বলেন, ‘ আপনারা ভোট দিয়ে সাংসদ নির্বাচন করেন, বিধায়ক নির্বাচন করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন করেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন করেন, পুরসভা নির্বাচন করেন। আপনাদের ভোটেই জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। আপনারা নাগরিক না হলে তাহলে উনি প্রধানমন্ত্রী হলেন কি করে! আপনাদের ভোটাধিকার না থাকলে আমিই বা জিতলাম কি করে! এখনও বলছি মতুয়া ভাইবোনেদের, আপনারা এখানকার নাগরিক, পুরোপুরি নাগরিক থাকবেন, কাউকে কিছু করতে দেব না আমি। কেউ কেড়ে নিতে পারবে না আপনাদের নাগরিকত্ব। আমি জীবন দিতে পারি, নাগরিকত্ব কাড়তে দেব না’।

মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০২৪ এ বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না। আসতে পারে না। কারণ আগের বার বিহার-ঝাড়খন্ডে তাদের সরকার ছিল। বিহার-ঝাড়খন্ড কোথাও নেই। কর্নাটকে হারবে। কেরলে হারবে। তামিলনাড়ুতে আমার বন্ধুর সরকার। গুজরাটে আগের বার সব সিট পেয়েছিল। ষাটে ষাট। উত্তর প্রদেশে সব পেয়েছিল। এবার কি মনে করেন সব সিট পাবে?’

যদিও হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাতের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কোনও ভবিষ্যদ্বাণীর পথে হাঁটেননি মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এ দিনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের ভয় দেখানোর অভিযোগে সরব হয়েছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,-ইডি, সিবিআই আমাদের সহকর্মীদেরকে ডেকে পাঠাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে যা তা বলে দিচ্ছে,একটি প্রেসকে ডেকে আগে থেকে বলে দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে মিডিয়া ট্রায়াল শুরু করতে।এরপর মিডিয়া ট্রায়াল করে মান সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে।

এমনকি কোন কোন সংবাদমাধ্যম এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তাও তিনি জানেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন,বহু সরকারি আধিকারিকদের ডেকে ভয় দেখানো হচ্ছে।লোকসভা নির্বাচনে যাতে অফিসাররা কাজ না করতে পারে তাই এখন থেকে ভয় দেখাচ্ছে।

তবে শুধু বিজেপি নয়,পাশাপাশি সিপিএম এবং কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।বলেন, ‘নির্বাচনের সময় এরা এক হয়ে যায়। সব রাম-বাম-শ্যাম। জগাই-মাধাই। এ ওর কাছ থেকে কানাঘুষো করে। নানা রকম আদানপ্রদান করে। রাজনীতির সঙ্গে আরও কিছু চলে।’

 

আরো পড়ুন:Firhad Hakim:ডেঙ্গি সচেতনতা অভিযানে পথে নামলেন ফিরহাদ হাকিম!