দীপাবলিতে আলোর উৎসবের মধ্যেই নক্ষত্র পতন ঘটলো টলিউডে। প্রয়াত হলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক পিনাকী চৌধুরী (Pinaki Chaudhary)। প্রয়ানকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। রাতে লেক গার্ডেন্সে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক।
কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। বাড়িতেই চিকিৎসাধীন থাকার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কার্ডিয়ো রেস্পিরেটরি ফেইলিওর হয় তাঁর। সেই সঙ্গে লিমফোমায় আক্রান্ত ছিলেন বিগত কয়েক মাস। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। লিমফোমা শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে আস্তে-আস্তে দুর্বল করে নষ্ট করতে দেয়। যার কারণে কোনও ধরনের জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীর মোকাবিলা করতে পারে না। ফলে একেবারেই শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি। রবিবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি আনা হয় পরিচালককে। রবিবার বাড়িতে আনার পরই ভোর রাত ৩.১৫ নাগাদ মৃত্যু হয় তার।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের কৃতি ছাত্র ছিলেন পিনাকি চৌধুরী। ছোটবেলা থেকেই শিল্পকলার প্রতি ছিল তাঁর টান। তিনি নিয়মিত তবলা বাজাতেন। ওস্তাদ কেরামাতুল্লাহ খান এবং পন্ডিত রবিশংকরের সঙ্গে তিনি তবলায় সংগত করেছেন। এরপর ছবির জগতের পরিচালনার কাজে মন দেন। আশির দশকের গোড়ার দিকে ‘চেনা অচেনা'(১৯৮৩)ছবি পরিচালনার মাধ্যমে তার হাতেখড়ি হয়। যে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, তনুজা এবং অমল পালেকরের মতো বিশিষ্ট শিল্পীরা।
বেশ কয়েকটি ছবির পরিচালনার ভুমিকা পালন করেছিলেন পিনাকী। ‘সংঘাত’, ‘বালিগঞ্জ কোর্ট’। ১৯৯৬ সালে ‘সংঘাত’-এর জন্য এবং ২০০৭ সালে ‘বালিগঞ্জ কোর্ট’-এর জন্য জাতীয় পুরস্কার পান এই পরিচালক। ২০১০ সালে তৈরি করেছিলেন ‘আরোহণ’। সেটিই ছিল তাঁর শেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি। এর পর তিনি আর ছবি তৈরি করেননি। এই ছবিটি বহু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছে এবং সমৃদ্ধ হয়েছে।
তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া টলিপাড়ায়।
আরও পড়ুন…Virat Kohli: অসামান্য জয়ের পর বিরাটের উদ্দেশ্যে কি লিখলেন আনুশকা