করুণাময়ীতে অনশন করা (TET) টেট উত্তীর্ণদের জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
টেট উত্তীর্ণদের সমর্থনে পথে নেমেছে বাম-বিজেপি-কংগ্ৰেস। এবারে এই ইস্যুতেই রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
পুলিশের পদক্ষেপের সমালোচনা করে, স্মৃতি ইরানি শুক্রবার বলেন, “দেশ পশ্চিমবঙ্গের টিএমসি সরকারের কুশাসন ও ভ্রষ্টাচার প্রত্যক্ষ করছে।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “পুলিশ কেন এসেছে?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন চাকরি না দিয়ে লাঠিচার্জ করছেন?”
স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘গত আট বছর ধরে প্রার্থীরা সরকারের কাছে তাদের অধিকার দাবী করছেন, কিন্তু তারা (মমতা সরকার) এতে মাথা ঘামাচ্ছেন না।’
তিনি কটাক্ষ করেন, ‘প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন টাকা নিচ্ছেন,
তখন মুখ্যমন্ত্রী কী করছেন? দিদির ক্ষমতা হারানোর ভয়। রাতে পুলিশ পাঠিয়ে অনশনরত টেট (TET) উত্তীর্ণদের জোর করে টেনে সরিয়ে দেওয়া অন্যায়।’
পুলিশের এই পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী দলগুলোও।
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্যরা মধ্য কলকাতায় একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (ডব্লিউবিপিসিসি) সভাপতি এবং বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় থেকে বিধান ভবন পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী মধ্য কলকাতায় মুক্তিযোদ্ধা মাতঙ্গিনী হাজারার মূর্তির সামনে আন্দোলনরত প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন।
তিনি বলেন, “অকার্যকর এবং দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেস সরকার
হাজার হাজার যোগ্য যুবদের জীবিকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তাদের চাকরি দিয়েছে।”
এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পশ্চিমবঙ্গে সমস্যা তৈরি করতে চায় বিরোধীরা।
তারা বিক্ষোভকারীদের উসকানি দিচ্ছে এবং প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়া যা সরকার স্বচ্ছভাবে শুরু করেছে, তা ব্যাহত করছে।’
তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ‘কোনও বিরোধী দল যোগ্য টেট প্রার্থীদের চাকরি পাক এবং তাদের উদ্দেশ্য প্রক্রিয়াটি দীর্ঘায়িত করা।’