তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) কালী পূজায় মা কালীর পূজার আয়োজন করতেন। মা কালী সোনার অলংকারে শোভিত ছিলেন।
সিবিআই-এর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মা কালীকে প্রায় তিন কোটি টাকার সোনার গয়না পরিয়ে দিতেন অনুব্রত মণ্ডল, যদিও এই কালী পুজোয় অনুব্রত মণ্ডল আসানসোল জেলে।
সেই কারণে এবার বীরভূমে তাঁর আয়োজনে কালী পুজো হবে কি হবে না এ নিয়ে সন্দেহ আছে।
অনুব্রত মণ্ডলের কাছে মা কালীকে পরানোর জন্য সোনার নেকলেস,
আংটি, চুড়ি সহ কয়েক কোটি টাকার গয়না রয়েছে। প্রতিবার পূজায় সোনার পরিমাণ ও দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
বীরভূমে বোলপুর পার্টি অফিসে যে কালী পুজো অনুষ্ঠিত হয় তার মূল সংগঠক ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) । তবে মা ও স্ত্রীর মৃত্যুর কারণে গত দুই বছরে প্রতিমায় অলংকার পরাতে পারেননি অনুব্রত মণ্ডল।
এবার তিনি গরু পাচারের মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে।
সূত্র জানায়, মুকুট, সীতাহার, চেইন, নেকলেস, চুর, রতনচুড়, মানতাসা, আংটি, চুড়ি, বালা, বটি, বাহুবন্ধনসহ বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে।
সব মিলিয়ে ৫৭০ ভরি অলঙ্কার যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) গহনাগুলি কোথা থেকে এসেছে তাও তদন্ত করছে।
বোলপুর পার্টি অফিসে ১৯৮৮ সালে কালী পূজা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে পূজার জাঁকজমক বাড়তে থাকে।
প্রতিবারই প্রতিমাকে অলংকার পরানোর আনুষ্ঠানিকতা বেশ আড়ম্বরে পালিত হতো। সেই পুজো দেখতে ভিড় জমাতেন বহু মানুষ।
এমনকি করোনার ২০২০ সালে, প্রতিমাটিকে ৩০০ টিরও বেশি সোনার অলঙ্কার দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছিল। আগে সোনার পরিমাণ ছিল ২৬০ ভরি।
গত বছর ১৮০টি সোনার অলঙ্কার দিয়ে প্রতিমা সাজানো হয়েছিল।