করোনা অতিমারি প্রতিরোধে কেরালার প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজার (KK Shailaja) ভূমিকার প্রশংসা কুড়িয়েছিল সারা দুনিয়ায়।তাঁর কাজের জন্য তাঁকে স্যালুট জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।কিন্তু এবার সেই পুরস্কৃত ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে উঠল করোনাকালেই উঠল দুর্নীতির অভিযোগ।
অভিযোগ উঠেছে, করোনার সময় ২০২০-তে কেরলে তিনগুণ বেশি দামে পিপিই কিট এবং অন্যান্য নানা সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। যার জন্য টান পড়েছে সরকারি কোষাগারে। এরপরই অস্বস্তি বেড়েছে কেরল সরকারের (Kerala Government)। এদিকে অতিমারীর সময় প্রশংসনীয় কাজ করেও নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি শৈলজার।
কংগ্রেসের নেত্রী বীণা এস নায়ার অভিযোগ করেছেন, অতিমারীর সময় নায্য দামের থেকে অনেক বেশি খরচ করে পিপিই কিট কেনা হয়েছে কেরলে। আর তারপরেই লোকায়ুক্ত (Lokayukta) আইনের ৯ (৩) ধারায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শৈলজা ছাড়াও নাম জড়িয়েছে কেরলের প্রাক্তন স্বাস্থ্য সচিব রাজন এন খোবরাগাড়ে, মেডিক্যাল সার্ভিসেস কর্পোরেশনের (Medical Services Cooperation) প্রাক্তন এমডি বালামুরালি সহ আরও অনেকের। সকলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগকারী আর্থিক কারচুপির অভিযোগে সকলের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে সরকারি পদে এই সকল লোকেদের থাকা অযোগ্য বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী।
যদিও এই দুর্নীতির অভিযোগ মেনে নিতে রাজি নয় কেরল সরকার।জানা যায়,এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৮ ডিসেম্বর কেরলের (Kerala) প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এখন এই ঘটনায় প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আদেও যোগ আছে নাকি,সেই দিকে নজর সবার!
আরো পড়ুন:Mamata : উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী