তাজপুরে বন্দর নির্মাণের নথি আদানি গ্রুপের হাতে তুলে দিয়েছেন (Mamata) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেছেন, রাজ্যের শিল্পায়নের অগ্রগতির।
যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ”তাজপুরে কিচ্ছু হবে না, মিথ্যে কথা বলে বাজার গরম করছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে শুভেন্দুর দাবি, ”ওখানে বন্দর? জীবনে হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata) নিজেই জানেন না যে একটা পোর্ট করতে গেলে পাঁচ হাজার একরের বেশি জায়গা দিতে হয়।
শুনুন ফোর লেনের রাস্তা জাতীয় সড়কে নিয়ে যেতে হবে তাজপুর পর্যন্ত।” প্রশ্ন তুলেছেন, ”জায়গা অধিগ্রহণ হয়েছে তো? রেলের করিডর হয়েছে?”
জবাবও দিয়েছেন নিজেই, ”সব ঢপের চপ। কিচ্ছু হবে না। আদানি টুপি পড়িয়েছে।” দাবি করেছেন, ”তাজপুরে বন্দর করতে হলে পাঁচ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তাজপুর থেকে চার কিলোমিটার দূরে এক হাজার একর জমি অফার করা হচ্ছে। ওই চার কিলোমিটার রাস্তা যেতে হলে ফোরলেন করতে হবে।
ওই রাস্তা করতে গেলে সব রায়ত জায়গা অধিগ্রহণ করতে হবে। সেটা সম্ভব নয়।”
কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ”আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব, আপনি সবজান্তা! আপনি খেলতেও জানেন! পড়তেও জানেন, ডাক্তারিও জানেন, মন্ত্র উচ্চারণ করতে জানেন এবং নামাজ পড়তে জানেন!
আপনাকে আমি বলব, সতীশ সামন্ত, বিরাজ মোহন দাস, কুমারচন্দ্র
জানা, সুশীল ধারারা হলদিয়া পোর্ট টা করার সময় পুরো পাঁচটা গ্রামের জমি নিয়ে ছিল।
বোনবিষ্ণুপুর, রাজাচক, রায়রায়চক, বিষ্ণুর রামচক, দত্তের চক। এর ইতিহাসটা দেখবেন।
একটা পোর্ট করতে গেলে কি করতে হয়। তার ভেট করিডর লাগে, তার
রেল করিডোর লাগে, আপনার গোডাউন করার জন্য, এন সিলিয়ার করার জন্য, ডেলিভারি করার জন্য জমি লাগে এবং ওয়ার হাউস লাগে
অন্তত এক হাজার। সেই ক্যাপাসিটি নেই। এর থেকেই স্পষ্ট, কিচ্ছু হবে না। সবটাই ঢপ!”