বর্তমানে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মোমিনপুর (Mominpur)।যা নিয়েই বিজেপির তরফে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করা হয়েছিল।বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি।সেই মামলার শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিট গঠন করার নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালত স্পষ্ট করে বলেছে, এই তদন্তে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে এই তদন্ত তত্ত্বাবধান করতে হবে। সেইসঙ্গে কত কী ক্ষতি হয়েছে, তদন্তের গতিপ্রকৃতি কী তা নিয়ে দু’সপ্তাহ পর রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে।এই হিংসার ঘটনায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন পুলিশের কাছে ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, যে এফআইআরগুলি হয়েছে তার ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।রাজ্যের পক্ষ থেকে ইকবালপুর থানার ওসি আদালতে জানান, বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি সংঘর্ষে জড়িতদের ৪২ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।এদিন মামলাকারীর পক্ষ থেকে মোমিনপুর কাণ্ডে এনআইএ তদন্তেরও আর্জি জানানো হয়। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয়।
হাইকোর্টের মত, রাজ্য পুলিস যখন তদন্ত করছে তখন এই মুহূর্তে অন্য কোনও সংস্থার তদন্ত করার প্রয়োজন নেই।কলকাতার পুলিস কমিশনারের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেছে, এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। সব ধর্মের মানুষ সেখানে যাতে সুরক্ষিত থাকেন তা নিশ্চিত করা পুলিস প্রশাসনেরই দায়িত্ব।প্রসঙ্গত,গত শনিবার রাত থেকে উত্তপ্ত হয়েছিল মোমিনপুর।এমনকি ঘেরাও করা হয়েছিল একবালপুর থানাও।আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মী।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ।নামানো হয় র্যাফ।মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৪২ জনকে।সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে আরও ৩৫ জনকে।৪১ জনকে সতর্ক করা হয়েছে নোটিশ দিয়ে।হিংসার ছবি প্রচার করার জন্য দায়ের করা হয়েছে আলাদা আলাদা প্রায় ৮০টি মামলা।
অভিযোগ,বিস্ফোরণও হয়েছে।বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল,রাজ্যকে দুপুর ২টোর মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। পুলিশের প্রতি আদালতের নির্দেশ ছিল,দায়িত্ব সহকারে কড়া ভূমিকা পালন করতে হবে।দুপুর ২টোর সময় রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য।উল্লেখ্য,প্রথম মামলা দায়ের হয়েছিল,কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর দাবিতে।পরবর্তীকালে দায়ের হয়েছিল আরও ২টি জনস্বার্থ মামলা।তবে এদিন দুপুরে শুনানির সময়ে ডিভিশন বেঞ্চের রায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর প্রয়োজন নেই।