গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) তদন্তের গতিবেগের কিনারায় পৌঁছাতে মরিয়া ইডি (ED)।গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পরই গ্রেফতার হয় তার দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain)।কিন্তু গ্রেফতার করার পরও তদন্তের গতিবেগ সেই ভাবে পৌঁছাচ্ছে না।মুখে কুলুপ এঁটেছে অভিযুক্তরা।এমন অবস্থায় সায়গল হোসেনকে নয়াদিল্লি নিয়ে যেতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি।কিন্তু আসানসোল আদালত কেন্দ্রীয় এজেন্সির সেই আবেদন খারিজ করে দিতেই এবার সেই একই আবেদন নিয়ে তারা হাজির হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইডির অফিসাররা আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে সায়গলের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই দীর্ঘ চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চলে। ইডির (ED) অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সায়গল। তাই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। আসানসোলের সিজেএম আদালতে সেই আবেদন জানান ইডির আইনজীবী। আদালত গ্রেফতারের আবেদন মঞ্জুর করলেও দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন খারিজ করে দেয়।

তারপর দফায় দফায় বার কয়েক আদালতে একই আবেদন করলেও সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। রবিবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই একই আবেদন জানাল ইডি (ED)। তাদের বক্তব্য, তদন্তের স্বার্থে সায়গলকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাবে। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।এখন এটাই দেখার কলকাতা হাইকোর্ট তাদের আবেদন মঞ্জুর করে কিনা।তদন্তের গতিবেগ কতদূর এগোই!

 

আরো পড়ুন:Anubrata Mondal : CBI -এর চোখ অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট