বুধবার সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা মধ্যে মাল নদীতে ছিল বিসর্জনের ভিড়।সেই সময়ই মাল নদীতে আসে হড়পা বান।জানা গেছে মালবাজারে (Malbazar) এদিন মারা গিয়েছেন ৮ জন।আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরো ১১ জন।সূত্রের খবর মৃতের মধ্যে এক নাবালিকা এবং এক শিশুও রয়েছে।রয়েছেন ৭২ বছরের এক বৃদ্ধও।

আর এইসবের মধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে।বৃহস্পতিবার সকালে মালবাজারের ওই অভিশপ্ত ঘাটের অদূরে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বলছিলেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মী অভিযোগ করেন,বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘাটের দায়িত্বে ছিলেন এনডিআরএফ কর্তা পল্লববিকাশ মজুমদার। কিন্তু তারপর তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

এদিকে এই পুরো ঘটনা নিয়ে পল্লববিকাশ মজুমদার নামে এনডিআরএফের ওই কর্তার ব্যাখ্যা দেন, ‘‌সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা যে যাঁর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। অফিস আমাদের সামনেই ছিল। দুর্ঘটনার পর যেটা প্রথম প্রয়োজন, সেটা হল সার্চ লাইট। সেটা আনা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। কাল আমি প্রথমদিকে ছিলাম। দুর্ঘটনার সময় সেখানে ছিলাম না, তার আগে পর্যন্ত ছিলাম। বিসর্জনের শুরু থেকেই তদারকিতে ছিলাম। মাঝে একবার আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমার এক আত্মীয় গুরুতর অসুস্থ।’‌

উল্লেখ্য, কর্তব্যরত থাকাকালীন যে তিনি ঘাট ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তা স্বীকার করতেই স্থানীয়দের অভিযোগে সিলমোহর পড়ল। কারণ স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিলেন, প্রশাসনের গাফিলতির জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেটা এবার প্রমাণিত হল।

 

আরো পড়ুন:Malbazar:মালবাজারে মৃত বেড়ে ৮,শোকপ্রকাশ মোদীর!