দূর্গা পূজার (Durga Puja) বিসর্জন এক অন্য মাত্রা এনে দেয় বসিরহাটের টাকি র ভারত ও বাংলাদেশের ঠাকুর বিসর্জন দেখতে।দুর্গাপূজার দশমীতে ইচ্ছামতী মিলন স্থল হয়ে ওঠে ভারত-বাংলাদেশের। দু দেশের মধ্যে সম্প্রীতির এক প্রতীক হয়ে উঠেছে ইছামতি নদীতে প্রতি বছর বিসর্জনের শোভাযাত্রা।এবছর যে তার অন্যথা হবে না তা বলাবাহুল্য।
আর তার জন্য আগেভাগেই ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে করা হয়েছে বৈঠক। বিসর্জন ঘিরে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে এই বৈঠক করেছে বিএসএফ ও বিজিবি।
টাকি পুরসভা-সহ বসিরহাট পুলিশের তত্ত্বাবধানে গোটা এলাকাই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ইছামতীর রাজবাড়ি ঘাট, ঘোষবাবুর, ঘাট, সৈয়দপুরের ঘাটে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ইছামতীর মাঝ বরাবর পেট্রলিং করবে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে রাজ্য পুলিশের বিশেষ বাহিনী ও মেডিক্যাল টিম।
প্রশাসনের তরফে ইছামতী নদীর মাঝে একটি দড়ি দিয়ে সীমারেখা টানা হয়েছে। দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা একটি দড়ি দিয়ে সীমারেখা চিহ্নিত করে রেখেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন পুজো কমিটির প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে বাংলাদেশের সীমান্তে। একইভাবে ভারতের বিভিন্ন পুজো কমিটির প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে ভারতীয় সীমান্তে।
মূলত,উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের টাকীর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে ইছামতী৷ প্রায় ৩০০ বছর ধরে দুই বাংলার দুর্গাপুজোর বিসর্জন হয়ে আসছে এখানে। প্রতিবারের মতো এবারও কড়া নজরদারির চাদরে মুড়ে ফেললো বিএসএফ, বিজিবিরা।
আরো পড়ুন:Durga Puja:নবমী তিথি থেকেই বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা!