এবার আমির খানের (Amir Khan) লোক ঠকানো কারবারে আরও টাকার খোঁজ পেলেন ইডির আধিকারিকরা। আমির খান ও তাঁর সহযোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তল্লাশি চালিয়ে মোট ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা উদ্ধার করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা।জানা গিয়েছে, সেই টাকা ইতিমধ্যেই ফ্রিজ করেছে ইডি।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আমির খানের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে মোট ৩৬ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা।সেই সমস্ত টাকাই ফ্রিজ করা হয়েছে। ধৃতকে ক্রমাগত জেরা করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।

মূলত ইডি আগেই জানিয়েছিল, মোবাইলে যাঁরা এই গেম খেলতেন, প্রাথমিকভাবে তাঁদের আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হত। পেতেন লোভনীয় কমিশন। সেই ফাঁদেই পা দিতেন বহু ইউজার। যাঁরা কম টাকা বিনিয়োগ করে কমিশন বাবদ মোটা অঙ্ক ওয়ালেটে ভরতে পারতেন, তাঁদের আত্মবিশ্বাস বহুগুণ বেড়ে যেত। আমিরের দেওয়া ‘টোপ’ সহজেই গিলে ফেলতেন তাঁরা। আরও বেশি কমিশনের আশায় তাঁরা মোটা টাকা বিনিয়োগ করতে শুরু করতেন। তেমনটা হলেই টার্গেট পূরণ। জনগণের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করে নেওয়ার পর হঠাত্‍ করেই ওই অ্যাপ থেকে টাকা তোলার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হত।

এরপরই তল্লাশি অভিযানে আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মোট ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। ঘরের খাটের তলা থেকে সেই টাকা উদ্ধার হয়।কিন্তু সেই সময় আমির বাড়িতে ছিল না। কিছুদিন আগেই কলকাতা পুলিশের একটি দল উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করেছিল আমির খানকে। ইডির পাশাপাশি সমান্তরালভাবে এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশও। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের হাতেও বেশ কিছু তথ্য এসে পৌঁছেছে। পুলিশও আমির খানের এই লোক ঠকানোর কারবারের সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সি যোগের সন্ধান পেয়েছে।

ইডির তদন্তেও উঠে এসেছে আমিরের ক্রিপ্টো যোগের কথা। বিটকয়েনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের সন্ধান পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই সবও আগেই ফ্রিজ করেছিল ইডি। এবার ই-নাগেটস প্রতারণা কাণ্ডের সঙ্গে আরও টাকার খোঁজ পেলেন ইডি।

 

আরো পড়ুন:Amir Khan:আমির খানের ৪৮ লক্ষ টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজেয়াপ্ত করল ইডি