দুর্নীতি করে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের সেই চাকরি হারাতে হবে বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়Abhijit Gangopadhyay। এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এ কথা জানান। তাঁর কথায়, ‘দুর্নীতি প্রমাণ হলে চাকরি যাবেই।যাদের নিয়োগ এখন প্রশ্নের মুখে, তারা যেন কোনওভাবেই নিশ্চিন্তে না থাকেন।’যাঁরা দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের সম্বন্ধে বিচারপতির মন্তব্য, ”এঁরা কী শেখাবেন? এঁরা তো স্কুলে টুকতে সাহায্য করবেন!”
রাজ্যে স্কুল শিক্ষক নিয়োগে ‘মুড়ি-মুড়কির’ মতো দুর্নীতি হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিচারপতি বলেছেন, ”এত দুর্নীতি জীবনেও কল্পনা করতে পারি না।” এই কারণেই তিনি একাধিক বিষয়ে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। আবার তাঁরই জন্য চাকরি গিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। তেমনই আবার আন্দোলনরত ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরিও হয়েছে। দুর্নীতি তিনি কখনোই বরদাস্ত করবেন না বলেও সাফ জানান। তিনি জানান, আদালত যদি কঠোরভাবে এগোয় তাহলে একটা চাপ তৈরি হবে। তাতে দুর্নীতি একেবারে লোপ না পেলেও দুর্নীতি যে কমবেই সে ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
কিন্তু একজন বিচারপতি কী সরাসরি এভাবে টেলিভিশনে সাক্ষাত্কার দিতে পারেন? এই প্রশ্নেরও নিজেই উত্তর দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ”বিচারপতিরা কী করতে পারেন এবং কত দূর যেতে পারেন, তা ব্যাঙ্গালোর প্রিন্সিপল-এ স্পষ্ট করা আছে। বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে। বিচারপতিরও বাক্স্বাধীনতা আছে।” যদিও এর পরেও তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে। তবে সে জন্যও তিনি তৈরি বলে জানাতে ভোলেননি।
মূলত, বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই সিবিআই তদন্ত শুরু হয় এবং প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বহু প্রাক্তন শীর্ষস্থানীয় এসএসসি আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয় এবং একটি বড় কেলেঙ্কারির ফাঁস হয়।চাকরি খুইয়েছেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী।
আরো পড়ুন:Abhijit Gangopadhyay:আরো ১১২ জনকে টেট উত্তির্নকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের!