নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলে রাজ্যের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে বিজেপি।
কেন্দ্রীয় অনুসন্ধানকারী দলের পর এবার জখম বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হাজির বাংলায় নবনিযুক্ত পর্যবেক্ষক এবং সহ পর্যবেক্ষক।
তাঁদের চোট-আঘাত দেখে, চিকিত্সার খোঁজ খবর নেন সুনীল বনশল, আশা লাকড়ারা।
নবান্ন অভিযানের মাঝমাঠেই রণে ভঙ্গ দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির তিন নেতা।
এমন পরিস্থিতিতে দল যে কর্মীদের পাশেই, সে বার্তা দিয়ে তাঁদের চাঙ্গা করতে এবার মাঠে নামলেন কেন্দ্রীয় নেতারাই।
জখম নেতা-কর্মীদের দেখতে দিল্লি থেকে এসেছিল অনুসন্ধানকারী দল। আমহার্স্ট স্ট্রিট, বেলেঘাটায় জখম দলীয় কর্মীদের বাড়িতে যান
সুনীল বনশল এবং আশা লাকরা। সঙ্গে ছিলেন উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি কল্যাণ চৌবে।
এদিকে নবান্ন অভিযান কতটা ফলপ্রসূ হল তা বুঝে নিতে দলের কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সোমবারও রয়েছে বৈঠক।
সেখানে দলের জেলা, মোর্চার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
সেখানে নবান্ন অভিযান কতটা সফল হল, পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখাও তৈরি করা হতে পারে বলে খবর।
এদিকে নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) পুলিশি জুলুমের অভিযোগ শোনা গেল রাজ্যের পর্যবেক্ষকের গলাতেও।
সুনীল বনশল জানান, এনিয়ে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করতে গেরুয়া শিবির।
এদিকে বিজেপির এই কৌশলকে পাত্তা দিয়ে নারাজ তৃণমূল। বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকদের সফরকে ‘সাইবেরিয়ার মরসুমি পাখির মরসুমি
সফর’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা পর্যবেক্ষক কুণাল ঘোষ।
বলেন, এর আগে এরকম অনেক নেতা এসেছেন-গিয়েছেন। সাইবেরিয়ার পাখিরা আসা-যাওয়া করে। দিল্লির দম দেওয়া পুতুল ওঁরা। এসব করে কোনও লাভ হবে না।’