মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের জেলাশাসক দপ্তরে শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর সংগঠনের আইন অমান্য কর্মসূচির ডাক দেই সিপিআইএম (CPIM)।সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় সুজন চক্রবর্তী,অনাদি সাহুরা,পার্টির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, হিমাংশু দাস, ইব্রাহিম আলী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে। কিন্তু নমতৌড়ি এলাকায় মিছিল ঘুরে জেলাশাসকের দফতরের দিকে এগোতে গেলেই বাধা দেয় পুলিশ।এরপরই শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ।
পুলিশের বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড ভেঙে দেয় বামেদের বিশাল জমায়েত।পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যবহার পুলিশের তরফ থেকে ব্যবহার করা হয় জলকামান।ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়।পাল্টা পুলিশের দিকে আধলা ইট ছুড়তে শুরু করে বামকর্মীরা।বেশ খানিকক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এদিন অভিযান শেষে বামেরা অভিযোগ করেন,তিন বাম কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন।নিখোঁজের তালিকায় রয়েছেন হলদিয়ার বাসিন্দা শেখ খলিল,সুতাহাটার বাসিন্দা তসলিমা বিবি,খেজুরির বাসিন্দা রাধা ঘোষ।এখনও পর্যন্ত মোট ২০ জন বাম-কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন এদিন বামেরা।বাম সমর্থক অনুপম মণ্ডল অভিযোগ করেন,”আইন-অমান্য করতে গিয়ে আমরা প্রথমে একটি ব্যারিকেড ভেঙে ফেলি। তখন আমরা এগোতেই পুলিশ আটকায়। ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তখন কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। টিয়ার গ্যাসের সেল এসে আমার মাথায় লাগে। মাথা ফেটে যায়। আমি ওখানেই পড়ে যাই।”তমলুক থানার আইসি অরূপ সরকার বলেন,”প্রায় ২ হাজার কর্মী-সমর্থকের জমায়েত হয় আজ। ডিএম অফিসের আগে আমরা ব্যারিকেড করেছিলাম। প্রথম ব্যারিকেড ওরা ভেঙে দেয়। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে। আমরা বারবার বলি সরকারি দফতরে জোর করে ঢুকবেন না। মাইকিংও করা হয়। কিন্তু আমাদের কথা না শুনেই ওরা পুলিশের উপর হামলা চালায়, ঢিল ছোড়ে। বাধ্য হয়ে আমাদের কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়।”
আরো পড়ুন:CPIM:সিপিএমের পথসভা ঘিরে উত্তেজনা!হেনস্থার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে