মঙ্গলবার তৃণমূলের (TMC) বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত সিজিও কমপ্লেক্স।মূলত বিজেপির দুই ভাই ইডি আর সিবিআই।প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি আর বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই ইস্যুতে গত এক মাস ধরে এই ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।এরপরই তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল,কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে গেরুয়া শিবির।এবার এই অভিযোগেই মঙ্গলবার বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কর্মী-সমর্থকরা।

জানা যায় মঙ্গলবার আচমকাই সল্টলেক বিকাশ ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কর্মীরা।এদিন তারা অভিযোগ করেন,ইডি এবং সিবিআই কেন্দ্র সরকারের অঙ্গুলি হেলনে কাজ করছে।তাই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের টার্গেট করছে।অথচ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও তারা তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না।শুভেন্দু অধিকারীর নামে খোদ সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন অভিযোগ জানানোর পরও কেন সিবিআই তাকে গ্রেফতার করছে না,সেই প্রশ্নও এদিন তোলেন তৃণমূল কর্মীরা।এইসব প্রশ্ন নিয়ে এদিন সেন্ট্রাল পার্ক মেট্রো স্টেশন থেকে মিছিল করে সিজিও কমপ্লেক্সের বিক্ষোভ দেখানোর সময়,সিজিও কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারীরা।তখন সিজিও কমপ্লেক্সের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ জওয়ানেরা বিক্ষোভকারীদের আটকে দেন।যাকে ঘিরে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয় সিআরপিএফ ও তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কর্মীদের মধ্যে।

এরপর বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।গেটে তালা মেরে দেয় সিআরপিএফ।এরপর বেশ কিছুক্ষন গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা।কিন্তু বিধাননগর পুলিশ এসে সেখান থেকেও বিক্ষোভ কারীদের সরিয়ে দেয়।এদিকে এদিনের এই ঘটনাকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি গেরুয়া শিবির।বিরোধীদের দাবি,দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে শাসকদলের।তাই আন্দোলনের পথে নেমেছে তারা।ইডি সিবিআই যেভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে তাতে শাসকের কেচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ার জোগাড়।এখন তদন্ত করে কোন বড় কেউটে খুঁজে পাই আমরা।তারই অপেক্ষায় আছি আমরা।

 

আরো পড়ুন:Anubrata Mondal:কিভাবে চলবে অনুব্রতহীন বীরভূম?চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দ্রুত বৈঠকে বসবেন অভিষেক!