দশ বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছিলেন টিউমার নিয়ে নারায়নগড়ের বাসিন্দা সঞ্জীব কুমার ঘোড়ই। কিন্তু কোথাও এই টিউমারের চিকিৎসা করতে পারছিলেন না চিকিৎসকেরা। কারণ এই টিউমার এমন একটি শিরার মধ্যে তৈরি হয়েছে যেই শিরায় কোনরকম অপারেশন করতে গেলেই হয় প্যারালাইসিস হয়ে যাবে নয় রোগী মারা যাবে। এই পরিস্থিতিতে এই ৫৬ বছর বয়সী কাপড় ব্যবসায়ী অবশেষে হাজির হন মেদিনীপুর হাসপাতালে। আর মেদিনীপুর সুপার স্পেশালিটির হাসপাতালের ডাক্তার সুদীপ্ত চ্যাটার্জির তত্ত্বাবধানে এই বিরল পুরানো ১০ বছরের টিউমার অপারেশন সফল হলো।
সপ্তাহ দুয়েক ধরে রোগীকে হাসপাতালে রেখে এই টিউমারের অপারেশন করা হয় এবং সেই টিউমার অপারেশনের পর সুস্থ সবল অবস্থায় এই রোগীকে অবশেষে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেন চিকিৎসকেরা। যদিও চিকিৎসকদের বক্তব্য এই টিউমার সাধারণত ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৬ জনের হয়। সাধারণত এই ধরনের বিরল টিউমার সচরাচর দেখা যায় না বললেই চলে এবং এই টিউমার কারো হলে তা অপারেশন করা খুবই কষ্টসাধ্য ও দুর্লভ। কিন্তু মেদিনীপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সেই টিউমার সফল অপারেশন হওয়ায় খুশি চিকিৎসক সহ রুগীর আত্মীয়-স্বজন।
শল্য চিকিৎসক সুদীপ্ত চ্যাটার্জি বলেন এই রোগী যখন এখানে এসেছিলেন তখন আমরা ভাবতে পারিনি এই টিউমার আমরা সরিয়ে তুলতে পারব। কারণ এই টিউমার অপারেশন করতে গেলেই রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা হতে পারত।এই টিউমার ছিল শরীরের সবচেয়ে বড় সায়েটিক নার্ভ এ। সে ক্ষেত্রে আমরা রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আমাদের অপারেশন সফল হয়েছে এবং রোগীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। এই টিউমার অপারেশন সফল হওয়ায় নতুন দিগন্ত এবং পথ দেখাবে আগামী প্রজন্মকে বলে মনে করছেন চিকিৎসক সুদীপ্ত চ্যাটার্জী।
যদিও অপারেশন সফল হওয়ায় খুশি রোগী এবং রোগীর আত্মীয়-স্বজন।বছর ৫৬ এর সঞ্জীব বাবু বলেন বহু জায়গায় ঘুরেছি কিন্তু এই টিউমার অপারেশন সফল হয়নি। এর প্রধান অসুবিধে হতো পা সব সময় চিনচিন করা এবং পা ফেলতে সমস্যা সৃষ্টি করা। যদিও সঞ্জীব বাবু বলেন এই সুদীপ্তবাবুর তত্ত্বাবধানে টিউমার অপারেশন টি সফল হয়েছে এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে ভালোই লাগছে।
আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari:ফের দুর্ঘটনার কবলে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়!