সিপিএমের (CPIM) পথসভা ঘিরে উত্তেজনা সল্টলেকের বৈশাখী নতুন বাজার এলাকায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, পথসভার অনুমতিপত্র দেখাতে বললে তা দেখাতে পারেনি সিপিএম নেতারা।

এই প্রসঙ্গে বামকর্মী দেবাশীষ সিনহা জানান,বিধাননগর দু’নম্বর এরিয়া কমিটির অন্তর্গত এএফএজি শাখার পক্ষ থেকে আজ একটি পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল। মূলত জ্যোতি বসু রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডি সেন্টারের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে তাঁরা এই পথসভার আয়োজন করেছিলেন বৈশাখী বাজার এলাকায়।রবিবার সকালে সেই সভা চলাকালীন আচমকাই সেখানে এসে উপস্থিত হন পুলিশ আধিকারিকরা।সিপিএমের (CPIM) কাছ থেকে জানতে চান যে, পথসভা করার জন্য তাদের কাছে কোন রকম অনুমতি রয়েছে কিনা।তবে সিপিএমের তরফ থেকে জানানো হয় ছোট এই পথসভা করার জন্য পুলিশের কাছ থেকে তাঁরা কোনো রকম অনুমতি নেন নি।তবে প্রশাসনের নিষেধ মেনে তাঁরা তখনই পথসভা বন্ধ করে দেন।

অভিযোগ করেন,ওই সভার একদম শেষ দিকে সেখানে পুলিশ এসে উপস্থিত হয়।আর তখনই পুলিশের সামনে স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা জমায়েত করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং হুমকি দেওয়া হয় পরবর্তীতে এই ধরনের সিপিএমের কোন সভা করা হলে সব ভেঙেচুরে দেওয়া হবে। অন্যদিকে তৃণমূল কর্মী বাপি ঘোষ অভিযোগ জানান, প্রত্যেক সপ্তাহের রবিবার সিপিএমের তরফ থেকে পুলিশের কাছে কোনো রকম অনুমতি না নিয়েই মাইক বাজিয়ে সাত সকালে এইভাবে পথসভা করা হয়। তাতে এলাকার বাচ্চা থেকে শুরু করে অসুস্থ মানুষদের অসুবিধার পড়তে হয়।

একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূলের কোনো একজন কী করেছেন সেই বিষয়টিকে নিয়ে দলের সমস্ত কর্মী সমর্থকদেরকে কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করে চলেছে সিপিএম।যখন তখন তৃণমূল কর্মীদেরকে কটাক্ষ করা হয়। এমনকি তৃণমূলের সবাই চোর,স্থানীয় কাউন্সিলর চোর এই ধরনের কটুক্তি গুলিও করা হয় সিপিএমের তরফ থেকে। যার ফলে এদিন প্রতিবাদ করেন তাঁরা। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী সিপিএমের সভা বন্ধ হয় বলে জানা যায়।

 

আরো পড়ুন:CPIM : ‘বলির পাঁঠা হয়েছেন পার্থ’ বললেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন