পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর বিকালে জরুরি বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল (Tmc)।ওই বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে ওই বৈঠক হয়।
এদিনের বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন, যাঁর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এই টাকার উত্স কী? এর পিছনে কী রয়েছে? যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই তদন্ত শেষ করে আদালতের কাছে পরিষ্কার বিষয়টি করা হোক। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেবে দল।
অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে আছেন বলে কুত্সা, ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমিও তৃণমূলে আছি বলে আমাকেও তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে।’আবার এদিন সরাসরি তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে আক্রমণ করে বলেন, ‘যাঁরা বিজেপি-র ওয়াশিং মেশিয়ে প্রবেশ করেছেন তাঁরা সাধু। বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করছে। বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রয়েছে। যদি বিচারে যদি প্রমাণিত হয় দোষী সেক্ষেত্রে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, ষড়যন্ত্র করা হলে আমরা তার প্রতিবাদ করব, প্রতিরোধ করব।’
তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে (TMC Press Meet) স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, পার্থর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে তবেই ব্যবস্থা নেবে দল। এখন তাঁকে অপসারণের যে বিষয় নেই তা সরাসরি না বললেও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশিষ্ট জনেরা।
আরো পড়ুন:Partha Chatterjee:গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়,আটক তারই ঘনিষ্ট অর্পিতা!