প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক (Teacher) বলতে পারেননি বাংলা শব্দের বানান, সমাধান করতে পারেননি সহজ অঙ্কের সমাধান। এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয় পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।
এবার সেই শিক্ষককে লম্বা ছুটিতে পাঠানো হল। উল্লেখ্য আগেই ওই শিক্ষককে সরানোর আবেদন জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের সেই অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ তাঁকে সরিয়ে এবার সেই স্কুলে পাঠিয়েছে অন্য এক শিক্ষককে।
সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলার চড়ুইকুড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজীব দিক্ষিত নামে এক শিক্ষকের (Teacher) বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি বাংলা শব্দের বানান বলতে পারেননি।
এমনকি সহজ অঙ্কের সমাধানও তিনি করতে পারেননি। এরপর বিষয়টি নিয়ে সরব হন ওই স্কুলে পাঠরত শিশুদের অভিভাবকরা।
তাঁরা গত ১১ জুলাই চড়ুইকুড় স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই শিক্ষককে অপসারণ করার দাবি জানান। তাঁর বদলে ওই স্কুলে উপযুক্ত শিক্ষককে নিয়োগ করার দাবি জানান অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের সেই বিক্ষোভের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। উল্লেখ্য রাজীব দিক্ষিত বাঁকুড়ার ওই স্কুলে ২০২১ সালের জুলাই মাসে সহ শিক্ষক পদে যোগ দিয়েছিলেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ রাজীব দিক্ষিত নামের ওই শিক্ষককে ছুটিতে পাঠিয়ে দেয়।
তাঁর জায়গায় অন্য এক শিক্ষককে পাঠানো হয় চড়ুইকুড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের ইন্দড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিঠুন সাঁতরাকে চড়ুইকুড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের তরফে।
সংদের নির্দেশ মেনে মিঠুন সাঁতরা শনিবার ওই স্কুলে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে তাঁদের দাবি মেনে গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে নতুন শিক্ষক পাঠানোয় খুশি অভিভাবকরাও।