“পশ্চিমবঙ্গে ভোট লুঠ, ত্রিপুরাতে হেরে ভুত” রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে এক কর্মিসভায় এসে শাসক দলকে সরাসরি এই ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।বহু চেষ্টা করেও ত্রিপুরাতে খাতা খুলতে পারলো না তৃণমূল কংগ্রেস। চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের মধ্যে একটিতে জয়লাভ করতে পারেনি তারা। আর এই পরিস্থিতিতে এদিন সুকান্তবাবু সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে বলেন, “আমরা আগেই বলেছিলাম,ত্রিপুরার রাজনীতিতে চেয়ার লিডারের ভূমিকা পালন ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না। কিন্তু তারা বড়বড় কথা বলে বাজার গরম করার চেষ্টা করেছে, ত্রিপুরার জনগণ তাদের সেই আপ্ত বাক্য স্মরণ করিয়ে দিয়েছে,পশ্চিমবঙ্গে ভোট লুট ত্রিপুরাতে হেরে ভূত।”
এছাড়াও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) মন্তব্য, “এরাজ্যের সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ব বিদ্যালয় পর্যন্ত চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতি করেছে সব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে”।
এদিকে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন, বিজেপি অবাধে সন্ত্রাস চালিয়েছে, ছাপ্পা ভোট হয়েছে। সকলে মিলে তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা করেছে। এ প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, “ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন নেই তাই তাদের উপর সন্ত্রাসের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সুকান্তবাবু বলেন, মহারাষ্টে হাসজাড়ু সরকার চলছে।সেখানে শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি জোট করেছে।আগামী দিনে মহারাষ্ট্রে বিজেপির সরকার ক্ষমতায় আসবে”।
এছাড়াও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে কারচুপি ও অশান্তির অভিযোগ নিয়ে তার মন্তব্য,”এই ধরনের গন্ডগোল আরও একবার প্রমাণ করল, তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকারের নিজের ও জনগণের ওপর কোনও কনফিডেন্স নেই। তারা শুধু ভোট লুট করেই জিততে চায়।”পাশাপাশি জিটিএ নির্বাচন নিয়েও এদিন সরব হন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “তড়িঘড়ি যে জিটিএ ভোট করানো হচ্ছে, এই ভোটের ফলে যারা জয়ী হবেন, জন প্রতিনিধি হবেন, তাদের ভবিষ্যত্ অন্ধকারে থাকবে।”
এর সাথে রাজ্যের ছয়টি পুর ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে ছাপ্পা ভোটের খবর করতে গিয়ে মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থার অভিযোগকে, এদিন তীব্র ধিক্কার জানান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর একবার দেখা উচিত্, তিনি তো গণতন্ত্রের কথা বড় বড় বলেন।”তিনি আরো বলেন, “১৯৭৫ সালে ২৫ জুন দেশে ইমারজেন্সি ঘোষণা করেছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এখন পশ্চিমবঙ্গে ১১ বছর ধরে অঘোষিত ইমারজেন্সি চলছে। আর সাংবাদিক ও মহিলা সাংবাদিকের ওপর আক্রমণই প্রমাণ করল, যে আমরা সত্যি বলছি।”
আরো পড়ুন:Yogi Adityanath:বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলো উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী!