আদি ভাষা সংস্কৃত এর প্রসারে মান্যতা দেওয়ার জন্য দলগুলিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বিধানসভায় এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা সংস্কৃত ভাষার প্রসারে মান্যতা দিয়ে টোলগুলিকে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনার পরিকল্পনা করেছি।’

জানা যাচ্ছে কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ সংস্কৃত মহাবিদ্যালয়টি বাম আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তা এখন গোডাউন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস এখন সমাজবিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই কলেজটি যাতে ফের চালু করা হয় এমনটাই আবেদন জানান কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে।

মঙ্গলবার বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu) জানিয়েছেন প্রাচীন সংস্কৃত প্রতিষ্ঠানগুলি টোল নামে পরিচিত। ইতিমধ্যেই নবদ্বীপের সংস্কৃত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ে উঠছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই কোচবিহার সহ রাজ্যের অন্যান্য টোলগুলিকেও যেন আনা যায় তার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। জানা যাচ্ছে সেই কমিশনের শীর্ষে থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। এমনকি শিক্ষামন্ত্রী এও জানান এই বিষয়ে বিধানসভায় বিল আনা হবে।

ব্রাত্য বসুর(Bratya Basu) কথায়, ‘বেসরকারি স্কুল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও উদ্বিগ্ন। তবে সরকার নীতিগত ভাবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর হস্তক্ষেপ করতে চায় না। কিন্তু মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে চেয়ারম্যান করে কমিশন তৈরির ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।’

অন্যদিকে বাগমুন্ডিতে সাঁওতালি স্কুল করার আবেদনও আসে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। তার জবাবে তিনি জানিয়েছেন, ‘ভাষার অস্মিতার জন্য আমাদের সরকার খুব সংবেদনশীল। সাঁওতালি ভাষাভাষীদের এলাকায় অনেক স্কুল খোলা হচ্ছে। পুরুলিয়ায় খুব শীঘ্রই সাঁওতালি স্কুল খোলা হবে।’