অগ্নিপথ(Agnipath) ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন অংশ কার্যত অগ্নিগর্ভে পরিণত হয়েছে। বিহার, তেলেঙ্গানার মতো দেশের বিভিন্ন অংশে চলছে বিক্ষোভ। ইতিমধ্যে ৯ থেকে ১১ টি ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, ট্রেন অবরোধ থেকে শুরু করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া এই সবই চলছে দেশের বিভিন্ন অংশে।

অগ্নিপথ(Agnipath) ইস্যুতে বিক্ষোভকারীদের দমাতে ইতিমধ্যে পুলিশ লাঠিচার্জ করছে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে। তবুও বিক্ষোভকারীদের দমানো যাচ্ছেনা। জানা যাচ্ছে বিক্ষোভ দমাতে গিয়ে তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে পুলিশের গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে।

এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন মনে করছে একশ্রেণীর জনতা হিংসার বাতাবরণ তৈরি করতে ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে বিহারে অগ্নিপথ(Agnipath) ইস্যুতে চূড়ান্ত বিক্ষোভ করছে আমজনতা। তাই এবার সেই বিক্ষোভ দমাতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং মাধ্যমগুলির মধ্যে দিয়ে গুজব বা উত্তেজনা বা ভুয়ো খবর রটানো আটকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিহারের ৩৮ টি জেলার মধ্যে ১৮ টি জেলাতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি।

এই বিষয়ে প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন বিশেষ করে যেসব জায়গায় ট্রেন এবং বাস জ্বালানোর মত ঘটনাগুলো ঘটছে সেই সব জায়গাতেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে পয়গম্বর ইস্যুতে বিক্ষিপ্ত গন্ডগোল ছড়ানোর পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। পরে পরিস্থিতি খানিক ঠান্ডা হয়। কিন্তু এবার বিহারেও এই একই পদ্ধতি কাজে দেয় কিনা এখন সেটাই দেখার।