মঙ্গলবার সকালে আচমকা এক টুইটে দেশবাসীকে চমকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে একটি টুইট করে এ কথা জানানো হয়।যেখানে বলা হয়,-“কেন্দ্রীয় সরকারের সব দফতর এবং মন্ত্রকের মানব সম্পদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে আগামী আগামী দেড় বছরের মধ্যে দ্রুত ১০ লক্ষ নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।”
মূলত দেশের কর্মসংস্থানের ইস্যুতে বারংবার মোদী সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং অন্য নেতারা কর্ম সংস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং বিজেপির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। কেননা ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদী প্রতিবছর ২ কোটি করে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতির কতটা পূরণ হয়েছে, তা নিয়ে সন্দিহার সব বিরোধী।
তবে মোদি সরকারের চাকরি দেওয়ার ঘোষণার পরও তীব্র কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, “২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যার অর্থ, আট বছরে ১৬ কোটি চাকরি হওয়ার কথা। সেই চাকরি কবে হবে?” তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের দাবি, “এসব প্রতিশ্রুতিতে মানুষ আর বিশ্বাস করে না। ২০২৪ সালেই তার উপযুক্ত জবাব পাবেন প্রধানমন্ত্রী।”
সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তো বছরে ২ কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল! সেই অর্থে আট বছরে ১৬ কোটি চাকরি হয়। সেই গল্প চলে গেল। সরকারি সংস্থাগুলির এক এক করে বেসরকারিকরণ হচ্ছে। বিএসএনএল-এর মতো সংস্থাকে প্রায় তুলে দেওয়া হয়েছে। রেলের পরীক্ষা কোথায় চলে গিয়েছে। গত এক সপ্তাহেই ৭০ হাজার চাকরি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এই দাবি কি বিশ্বাসযোগ্য আদৌ? বছরে ২ কোটি বলেছিলেন, এখন দেড় বছরে ১০ লক্ষ বলছেন। ২০২৪-এ ভোট। ধরা পড়ে যাবেন বলেই কি! ভোটের পর আবার ভুলে যাবেন আমার বিশ্বাস। বাজার গরম করার জন্য এখন এ সব বলছেন।”
আরো পড়ুন:Narendra Modi:’গত দুই দশকে রাজ্যের দ্রুত উন্নয়ন গুজরাটের গৌরব’: প্রধানমন্ত্রী