কোন নারী চায় না সুন্দর লম্বা আর ঘন চুল! কিন্তু বাস্তবে বদলে যাওয়া এই আবহাওয়া, পরিবেশের দূষণ, অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে চুল রুক্ষ শুষ্ক আর নির্জীব হয়ে যেন অভ্যাস দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু উপায় অবলম্বন করলেই পেতে পারেন ঘন এবং কালো চুল। আজকে জেনে নিন কি কি তেল আপনার চুলের জন্য খুবই উপকারী।
চুল পড়া বন্ধ করতে এবং চুলের নমনীয়তা বজায় রাখতে আমি ক্যাস্ট্রর অয়েল (Castor oil)দিয়ে হেয়ার প্যাক বানাতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি কাঁচা ডিম ফাটিয়ে তার সাথে ক্যাস্টর অয়েল আর নারকেল তেল মিশিয়ে ভালোভাবে চুলের স্ক্যাল্পে লাগান। এক থেকে দুই ঘণ্টার মত রেখে শ্যাম্পু করে নিন সপ্তাহে একদিন এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করবেন দেখবেন চুল সিল্কি এবং ঘন হচ্ছে।
বাদাম তেল বা আমন্ড অয়েলে (Almond Oil)প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন “ই” রয়েছে, যাঅ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। সপ্তাহে দুদিন শ্যাম্পু করার আগে মাথার স্ক্যাল্পে লাগাবেন।চুলপড়া বন্ধ করতে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন সমৃদ্ধ আমন্ড অয়েল চুল ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি চুল করে জটহীন ও ঝলমলে।
আমলকির (Amla )তেল চুল মজবুত এবং ঘন করতে অনেক কার্যকরী।আমলকি নারকেল তেল সাথে মিশিয়ে তেল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।নারকেল তেল সাথে টুকরো করে কাটা আমলকি দিয়ে জ্বাল করতে হবে বাদামি না হওয়া পর্যন্ত। ঠান্ডা হলে মাথার স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগিয়ে পরদিন শ্যাম্পু করে নিন । চুল ঘন এবং কালো হবে।
নিম তেলে(neem oil)উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ স্কাল্পে জন্ম নেয়া ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে চুলের একাধিক সমস্যার সমাধান করে, তেমনি চুল পড়া ও সাদা চুলের সংখ্যা কমাতেও বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে।অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ করতে নিয়ে অনেক কার্যকরী।নিম তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল চুল কালো করতে এবং চুল পাকা রোধ করতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে নিম তেল মেখে পরদিন শ্যাম্পু করে নেবেন। সপ্তাহে একদিন করবেন ফল মিলবে।
Image source-google