কোন নারী চায় না সুন্দর লম্বা আর ঘন চুল! কিন্তু বাস্তবে বদলে যাওয়া এই আবহাওয়া, পরিবেশের দূষণ, অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে চুল রুক্ষ শুষ্ক আর নির্জীব হয়ে যেন অভ্যাস দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু উপায় অবলম্বন করলেই পেতে পারেন ঘন এবং কালো চুল। সবাই জানেন কারি পাতা রান্নায় ব্যবহার হয় কিন্তু আপনি কি জানেন চুলের যত্নে কারি পাতার অসাধারণ ব্যবহার। তাই এটি ব্যাবহার করলে আপনার চুল থাকবে সাস্থ্যকর।চুলের স্বাস্থ্যের জন্য কারি পাতা উপকারী। এটি চুলের শিকড়কে শক্তিশালী করে এবং চুল ভাঙ্গা রোধ করে। এটিতে অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চুলকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।আজকে জেনে নিন চুলের কারি পাতার (curry leave)ব্যবহার।

 

কারি পাতার আরও গুণ রয়েছে। যাঁরা খুসকি বা চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন, এক্ষেত্রে প্রথমে কারিপাতা পেস্ট করে নিতে হবে। তারপর কারিপাতার পেস্ট এ  টকদই মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এই পেস্ট ভালো করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিতে হবে। আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা মত মাথায় রেখে ধুয়ে নিতে হবে। এর দ্বারা আপনার খুশকি সহজেই দূর হবে।

 

 

সাদা চুল কালো করতে কারী পাতার (curry leave)অনেক কার্যকারী। ।প্রথমেই কয়েকটা কারী পাতাটিকে বেটে তার মধ্যে দুই তিন চামচ আমলা পাউডার এবং ব্রাহ্মী পাউডার মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। প্যাকটি তৈরি হয়ে গেলে চুলের গোড়া থেকে শুরু করে পুরো চুলে লাগিয়ে নিন।এই ভাবে এক ঘণ্টা রাখুন এবং তারপর ধুয়ে নিন।এই প্যাকটি শুধু আপনার চুল কালোই করবে না। আপনার চুল ঘন ও সতেজ করতে সাহায্য করবে।

 

 

একটি ছোট প্যানে কিছু নারকেল তেল গরম করুন।, 10 থেকে 12টি কারি পাতা দিয়ে সেগুলিকে ফুটতে দিন। যতক্ষণ না আপনি কারি পাতার প্রান্তে কালো হয়ে যেতে দেখেন ততক্ষণ পর্যন্ত এগুলি গরম করুন। তেলটি একটু ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন যাতে, আপনার আঙ্গুল দিয়ে এটি আপনার মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন এবং চুলের মধ্যে দিয়েও এটি চালান। সারারাত রেখে দিন এবং সকালে হালকা শ্যাম্পু এবং হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য বাড়াতে সপ্তাহে অন্তত দুবার এটি করার চেষ্টা করুন।

Image source-google