মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) হলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের মনস্তাত্বিক, আবেগীয়, এবং সামাজিক সুস্থতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ যা আমাদের চিন্তাভাবনা করার প্রক্রিয়া, অনুভব করার শক্তি নির্ধারণ করে ও বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমাদের প্রতিক্রিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে। মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সিদ্ধান্ত নেওয়া, সম্পর্ক তৈরি করা, এবং জীবনের নানা চাপের সাথে মোকাবিলা করার দক্ষতা প্রদান করে।

 

আরো পড়ুন: Prostate Cancer: প্রস্টেট ক্যানসার কীভাবে শরীরে বাসা বাঁধে?

 

মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health)বিষয় আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিৎ একেবারে একটি বাচ্চার শৈশবকাল থেকে। কারণ একটি শিশুর সার্বিক বিকাশ ও জীবনের পথে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে মানসিক সুস্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছোটবেলাতেই একটি শিশুর আনন্দ, দুঃখ, রাগ, বিরক্ত এবং অন্যান্য আবেগ ও অনুভূতি তৈরি হয় যা পরবর্তীকালে তাদের ব্যক্তিত্ব, আচরণ এবং জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব ফেলে।

তবে বর্তমানে এই প্রতিযোগীতার যুগে প্রতিটি শিশুকে ছোট থেকেই নানা ক্ষেত্রে মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কখনো পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ, কখনো ভালো রেজাল্ট না করতে পারলে মা বাবা কি বলবে সেই নিয়ে ভয়, কখনো বন্ধুদের সাথে সম্পর্কে জটিলতা সৃষ্টি আবার কখনো মা বাবার মধ্যে ঝগড়া বাচ্চাদের মানসিক চাপের জন্য দায়ী হয়। এর থেকে একটি শিশুর মনে বিষন্নতা, হতাশা, হীনমন্যতা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

আজকাল ছোট থেকেই বাচ্চাদের পড়াশোনার এতো চাপ থাকে মাঠে গিয়ে খেলাধূলার করার সময়ই থাকেনা তাদের কাছে। এতে মুক্ত পৃথিবীর স্বাদ তারা পায়না। বাইরের জগৎ সম্পর্কে যতটুকু জানতে পারে সবটাই ওই মুঠোফোন থেকে। পড়াশোনা, স্কুল ও বাড়ি; এই হয়ে গেছে তাদের জীবন যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। এই কারণে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে বা তাদেরই বয়সী বাচ্চাদের সাথে মেশার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে।

তাই প্রত্যেক বাবা মায়ের উচিৎ বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ করে নজর দেওয়া। তাদের ছোটবেলাটা যেন তারা উপভোগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা বাবা-মাকেই করে দিতে হবে। প্রথমেই, তাদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করার অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। বাচ্চারা যেন সহজেই নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে, তার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তাদের সফলতা এবং প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করা ও ছোট ভুলগুলো ক্ষমা করে দিয়ে কাছে টেনে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে বাবা মায়ের সাপোর্ট একটি বাচ্চার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অনেকটাই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং তাকে জীবনের পথে এগিয়ে যেতেও অনেক সাহায্য করে।

Image source-Google

By Torsha

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *