নিশ্চিতভাবেই পাকিস্তান (Pakistan) একফোঁটাও জল পাবে না—এই বার্তাই কড়া ভাষায় দিলেন ভারতের জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাটিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের হাতে রয়েছে তিনটি ধাপে সাজানো পরিকল্পনা—স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি। সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী যে কোনও একটি বা একাধিক পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে, যাতে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের জলসম্পদ ব্যবহার করতে না পারে।
এই প্রসঙ্গে বিশেষ কিছু না জানালেও, এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বাসভবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন পাটিল। সরকারি সূত্রের দাবি, বৈঠকে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরবর্তী কূটনৈতিক এবং কড়া পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল সিন্ধু জল চুক্তির ভবিষ্যৎও। ১৯৬০ সালের এই চুক্তি আপাতত স্থগিত রাখার দিকেই এগোচ্ছে কেন্দ্র।
সরকারের একাধিক পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ রাখা, পাকিস্তানি নাগরিকদের দ্রুত দেশে ফেরার নির্দেশ, এবং কূটনৈতিক স্তরে চাপ বাড়ানো। এমনকি, পাকিস্তান (Pakistan) যদি বিশ্ব ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়, তাহলে তার বিরোধিতায় আন্তর্জাতিক আইনমঞ্চেও শক্ত অবস্থান নিতে তৈরি নয়াদিল্লি।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াও এসেছে কড়া সুরে। তারা এই জলচুক্তি স্থগিতকরণকে কার্যত ‘যুদ্ধ ঘোষণার’ শামিল বলেই ব্যাখ্যা করছে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন হুঁশিয়ারি নজরকাড়া তো বটেই, রাজনৈতিকভাবে এক নতুন মোড় আনবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন: Pahalgam:কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়ে না ফেরার দেশে বাংলার তিন বাসিন্দা!