শাসক শিবিরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়েন না।চোখা চোখা ভাষায় সবসময় আক্রমণ শানান।সেই ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ দিলীপ ঘোষই নাকি ভাসছেন প্রেমের জোয়ারে।প্রজাপতির ছোঁয়ায় এবার রঙিন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।মন দেওয়া নেওয়ার পর সংসার পাততে চলেছেন ষাট বছর বয়সী দিলীপ ঘোষ।সব প্রস্তুতিই নাকি সারা।শুক্রবার সন্ধেয় শুরু হবে বিজেপি নেতার জীবনের নতুন ইনিংস!
এই বিয়ের ঘোষণা নিয়ে যেমন রয়েছে চমক,তেমনই রয়েছে আলোচনা,রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া,এমনকি কিছু বিরোধিতাও।কিন্তু সব কিছুকে পাশে সরিয়ে জীবনের শেষ পর্বে সাহসী এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিলীপ-সংসার ধর্মে প্রবেশের।
জানা গিয়েছে,দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের আলাপ হয় বিজেপির কাজের সূত্রেই।গত লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর কিছুটা ভেঙে পড়েছিলেন দিলীপ।সেই সময় পাশে দাঁড়ান রিঙ্কু। তিনিই প্রথম সংসার গড়ার প্রস্তাব দেন।যদিও দিলীপ তখন রাজি হননি, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মন বদলায়।সূত্রের খবর, ৩ এপ্রিল ইডেনে কেকেআর বনাম সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ ম্যাচ দেখতে গিয়েই ‘পাকা কথা’ হয়।সেই দিন ক্লাব হাউসের ১১ নম্বর বক্সে বসেই দুই পরিবার সিদ্ধান্তে পৌঁছয়।সূত্র বলছে,দিলীপের বিয়ের সিদ্ধান্তে সঙ্ঘ পরিবারের একাংশ অখুশি।এমনকি তাঁকে বোঝাতে দু’জন প্রতিনিধি দিলীপের বাড়িতেও যান।কিন্তু দিলীপ অনড়।তিনি স্পষ্ট করে জানান,-সিদ্ধান্ত বদল সম্ভব নয়।অন্যদিকে,বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ,বিশেষত সুনীল বনসল এবং সতীশ ধন্দ তাঁকে আগাম শুভেচ্ছা জানাতে বৃহস্পতিবারই দিল্লি থেকে চলে আসেন কলকাতায়।
আরো দেখুন:Shinjini Chakraborty: নববর্ষে আত্মবিশ্বাসের বার্তা শিঞ্জিনী চক্রবর্তীর: ‘‘আমার গায়ের রঙই আমার গর্ব’’