বাঙালি মানেই তাদের খাবারের মেনুতে মাছ, মাংস আর ডিমের কোনো না কোনো কিছু থাকতেই হবে। এর মধ্যে যেকোনো একটা না থাকলে যেনো তাদের খাওয়াটাই সম্পূর্ণ হয়না। কিন্তু প্রতিদিন বাড়িতে আমিষ রান্না হয়না। তাই এরম দিনে বাড়িতে বানিয়ে নিন মরিচ ঝোল যা আপনার স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখবে এবং রসনাতৃপ্তিও ঘটাবে।
এটি এমন একটি রেসিপি (Recipe) যা সহজে বানানো সম্ভব এবং একইসাথে মুখোরোচক।
চলুন তাহলে দেখে নিই কিভাবে তৈরি করবেন এই রেসিপি (recipe)।
উপকরণ:
১টি বড় আলু
২টি পটল
৭-৮ টুকরো ডুমো করে কাটা কুমড়ো
১টি রাঙা আলু
১টি ঝিঙে
১টি ছোট মাপের বেগুন
৪-৫টি বরবটি
৬টি কাঁচালঙ্কা
২ টেবিল চামচ কালোজিরে
১ চা-চামচ রাঁধুনি
১ কাপ দুধ
১ টেবিল চামচ ঘি
২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
স্বাদমতো নুন
সামান্য চিনি
প্রণালী:
সব্জিগুলো ভাল করে ধুয়ে মাঝারি মাপের টুকরোয় কেটে নিন।
কড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে আধ চা-চামচ কালোজিরে এবং দুটি কাঁচালঙ্কা অল্প চিরে ফোড়ন দিন। সুগন্ধ বেরোলে দিয়ে দিন কেটে রাখা আলু আর সামান্য নুন। আলু বেশ খানিকটা ভাজা হলে কড়াইয়ে একে একে সব সব্জি দিয়ে ভাজতে থাকুন। একেবারে শেষে দিন বেগুন আর ঝিঙে, যাতে খুব বেশি নেতিয়ে না যায়। সব্জি ভাজার সময় মনে রাখতে হবে সব্জির রং যেন না পাল্টায়। মরিচ ঝোলের বিশেষত্ব হল, এর সব ক’টি সব্জির রং আলাদা করে বোঝা যাবে।
সব্জি ভাজা হয়ে গেলে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে ফুটতে দিন। এই পর্যায়ে মিক্সিতে একটা মশলা বেটে নিন। বাকি কালোজিরে, ৪টি কাঁচালঙ্কা এবং রাঁধুনি দিয়ে সামান্য জল দিয়ে বাটতে হবে। এর পর বাটা মশলা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ওই মিশ্রণটি ঢেলে দিন কড়াইয়ে।
মশলা ভাল করে মিশিয়ে স্বাদমতো নুন, মিষ্টি দিয়ে ঢাকা দিয়ে কিছু ক্ষণ রান্না করুন। ঢাকা খুলে ঘি দিয়ে সামান্য নেড়ে নিয়ে আঁচ বন্ধ করে রেখে দিন। ৫ মিনিট পরে পরিবেশন করুন গরম ভাতের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: কলকাতায় ফিরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Image source-Google