বর্তমানে আর বঙ্গের সক্রিয় রাজনীতিতে সেভাবে দেখা যায় না একসময় তৃণমূলের অত্যন্ত দাপুটে নেত্রী সোনালী গুহকে (Sonali Guha)। যদিও একসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ছায়াসঙ্গী’ বলেও পরিচিত ছিলেন তিনি। সেসব এখন অতীত।বর্তমানে তিনি নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। কথা হচ্ছে, প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার তথা বর্তমান বিজেপি নেত্রী সোনালী গুহকে নিয়ে। সম্প্রতি এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর মুখে শোনা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। কথা প্রসঙ্গে এবার উঠে এল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কথাও।অতীতের নানান অজানা সিক্রেট ফাঁস করে দিয়ে সোনালী এদিন জানালেন একসময় তিনি নাকি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গলা টিপতে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘আমি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গলা টিপতে গিয়েছিলাম। কারণ নানুরে মমতা দিদিকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। সে সময় পঙ্কজ বন্দোপাধ্যায় ছিলেন বিরোধী দলনেতা।

অতীতে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে এক কথোপকোথনের কথা জানিয়ে সোনালী বলেছেন, ‘তারপরে উনি তাঁর ফোনে আমায় ধরলেন। আমি বললাম কি হয়েছে দিদি! তখন উনি বললেন সোনালি বুদ্ধ ভট্টাচার্যকে ছাড়বি না।’ সোনালীর দাবি, ওই সময় নাকি নানুরে বোমাবাজি হচ্ছিল। তখন ঘটনাস্থলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢুকতে পারছিলেন না। সোনালী মুখ্যন্ত্রীর কাছে জানতে চান, তিনি একথা পঙ্জদাকে কেন বললেন না? জবাবে তাঁকে বলা হয়, ‘পঙ্কজের সঙ্গে নাকি বুদ্ধবাবুর আঁতাত আছে।’

সোনালী এরপর আরও বললেন,’আমি খবর পাওয়ার পর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বললাম, আপনার কমরেডরা বোমাবাজি করছেন। আমাদের নেত্রী ঢুকতে পারছেন না।’ বুদ্ধবাবু তখন তাঁর সেক্রেটারি ভাস্কর লায়েককে বললেন ওরা কেন ঢুকতে পারছেন না।’তারপর সোনালীর আরও সংযোজন, ‘বুদ্ধবাবু ওঁর সেক্রেটারি ভাস্কর লায়েকেকে প্রশ্ন করেন, সোনালীরা কী বলছেন ওদের নেত্রী নানুরে ঢুকতে পারছেন না!’ একইসাথে সোনালী এদিন আরও দাবি করলেন, ‘বুদ্ধবাবু আমায় সম্মান দিতেন। আমার কথা শোনার পর উনি বললেন, দাঁড়ান সোনালী। আপনার নেত্রীকে বলুন ১০ মিনিটের মধ্যে বোমাবাজি বন্ধ হবে।’সোনালীর দাবি, এরপরের দিনই এটাই খবরের কাগজের লিড হল,’বুদ্ধবাবু বিরোধী দলের একজন এমএলকে ডেকে বললেন, দাঁড়ান সোনালী আপনার নেত্রীকে বলুন ১০ মিনিটের মধ্যে বোমাবাজি বন্ধ হবে। তাতেও দেখছি মমতাদির গাত্র জ্বালা।’

এদিকে এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, ‘দলবদল হওয়ার পরই পর্দার পিছনের ঘটনা জানা যাচ্ছে। আর তারপরই জানতে পারছি নথিভুক্ত থাকছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর নেতা নেত্রী কতটা নোংরা। আস্তাকুঁড়েতেও তাঁদের স্থান হবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *