শনিবার জীবনতলায় উদ্ধার হয় ৭ এমএম পিস্তলের ১৯০ রাউন্ড গুলি। পাশাপাশি উদ্ধার হয় ডবল ব্যারেল বন্দুকও।ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে এসটিএফ। আর এবার কার্তুজ উদ্ধার কাণ্ডে এসটিএফের নজরে কলকাতার বিবাদী বাগ অস্ত্রের দোকান। ইতিমধ্যেই এসটিএফের তরফ থেকে সেই দোকান সিল করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে,এবার সেই অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে বারুইপুরে রবিবার এসটিএফের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়। বলেন, “এসটিএফ আগে কেন অস্ত্র উদ্ধার করেনি।” বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সহযোগিতায় বারুইপুর ব্লকের কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জোড়ামন্দির বিসর্জন ঘাট সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা পরিষদ ও এলাকার বিধায়ক এর উন্নয়ন তহবিল থেকে মহিলাদের জন্য ওয়াসরুম, প্রতিক্ষালয় সহ আধুনিক বাসস্টান্ড ও কমিউনিটি হলের শিলান্যাস অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই দাঁড়িয়ে একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি মনে করি এটা এসটিএফের ব্যর্থতা, এতদিন কি ঘুমোচ্ছিল? পুলিশেরও ব্যর্থতা? পুলিশের কাছে কেন কোনও খবর ছিল না? কারা ওরা, কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থক কিনা দেখতে হবে।”এদিকে, এসটিএফ শনিবার যে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে, তাদের মধ্যে আসিফ ইকবাল গাজি ওরফে বাপ্পা গাজি ও আব্দুল সেলিম গাজি ওরফে বাবলু গাজির বাড়ি হাসনাবাদের মুরারীশাহ এলাকায়। দুটি বাড়িই রবিবার সকাল থেকে তালা বন্ধ। দুজনের সম্বন্ধে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে নারাজ । প্রসঙ্গত, শনিবার জীবনতলার উজিরমোড় এলাকার হাজী আব্দুল রশিদ মোল্লার বাড়ি থেকে কার্তুজ ও আগ্নেয়াস্ত্র শনিবার উদ্ধার করে এসটিএফ। গ্রেফতার করা হয় রশিদ মোল্লাকে। শনিবারের পর জীবনতলা উজিরমোড় এলাকায় রশিদ মোল্লার বাড়ি চত্বরে থমথমে পরিস্থিতি। এ বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ এলাকার সাধারণ মানুষসহ রশিদ মোল্লার পরিবারের সদস্যরাও।