একদা সময়ের ভারতের জাতীয় খেলা কবাডিকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা বিধাননগর পৌরনিগম ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে।১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা সিরাজুল হকের উদ্যোগে দিবারাত্রি ব্যাপী নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হলো হাতিয়ারায়।

প্রসঙ্গত,আজ থেকে কয়েক দশক বছর আগে খেলার মাঠে বিভিন্ন খেলাধুলার আসর জমত। যে খেলাগুলির মধ্য অন্যতম ছিল কবাডি খেলা। তবে বর্তমানে কবাডি খেলা কি ভুলতে বসেছে বাঙালি?মাঝে মাঝেই শোনা ‌যায় এই প্রশ্ন। কারণ কবাডি খেলা ঘিরে এখন আর বাংলার মানুষদের মধ্যে আগের মতো সেই উন্মাদনা দেখা যায় না।বলা যায় একেবারেই বিলুপ্তির পথেই এই খেলা।

আর সেই পুরোনো খেলাকেই এবার রাজারহাট নিউটাউনের বুকে ফিরিয়ে আনলো বিধাননগর পৌরনিগম ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা সিরাজুল হক।মঙ্গলবার হাতিয়ারা সম্মিলিত সংঘের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হলো কবাডি কাউন্সিলর কাপ 2025।

কখনও ফুটবল তো কখনও ক্রিকেট,রাজারহাটের বুকে প্রায়দিনই নানারকম প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।তবে নব প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে,এবং বাংলার পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কবাডিকে খেলাকে বেছে নেন পৌরপিতা।

আর তার সফলতাও হাতে নাতে পাওয়া যায়।দিবারাত্রি ব্যাপী নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্ট দেখার জন্য কানাই কানাই পরিপূর্ণ হয়ে যায় দর্শকে।

এদিনের এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।খেলোয়াড়দের সাথে পরিচিতি করার পর শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা।

দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ছাড়াও এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি,ডেপুটি মেয়র অনিতা মন্ডল,দমদম সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তী,জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ আফতাব উদ্দিন, বিধাননগর পৌরনিগমের এক নম্বর বোরো চেয়ারম্যান শাহনওয়াজ আলী মন্ডল,বিশিষ্ট সমাজসেবী আকবর আলী পিয়াদা,আইএনটিটিইউসির সভাপতি হাজী বাচ্চু,পঞ্চায়েতের সদস্য হাফিজুর রহমান ওরফে লিটন,অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা তথা বিধাননগর পৌরনিগম ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা সিরাজুল হক,বিশিষ্ট সমাজসেবী নিজাম উদ্দিন সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধিদের পাশাপাশি আরো অন্যান্য বিশিষ্টজনের।

এদিন আট দলের মধ্যে খেলা হয়।এবং খেলোয়াড়দের পুরস্কার এবং সুদৃশ্য ট্রফি সহ আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়।

এদিন পৌরপিতা সিরাজুল হক বলেন,- আমরা যে কবাডি প্রতিযোগিতা করেছি, তা অবশ্যই মানুষের মনে দাগ কাটবে।

এদিকে,পৌরপিতা যেভাবে বাংলার ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনেছেন তার জন্য ভুয়সী প্রশংসা করেছেন রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জী।এছাড়াও পৌরপিতা সিরাজুল হককে বিশেষ ভাবে সংবর্ধনা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন এদিন তিনি।

অর্থাৎ বলাবাহুল্য এদিনের এই প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে যেভাবে সাধারণ মানুষদের মধ্যে উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল, তা সত্যিই ছিল চোখে পড়ার মতো।

 

 

আরো দেখুন:Annual sports competition:উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের উদ্যোগে হওয়া বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা মিলন মেলায় পরিণত!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *