“জীবে প্রেম করে যেই জন,সেই জন সেবিছে ঈশ্বর!” স্বামী বিবেকানন্দের এই বানীকে সামনে রেখে,একগুচ্ছ সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে তিন দিন ব্যাপী যুব দিবস উৎযাপন করলেন রাজারহাট বিষ্ণুপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অভিজিৎ নস্কর।প্রতিবছরের মতো এবছরও বিষ্ণুপুর জাগৃতি সংঘের খেলার মাঠে ১২ ই জানুয়ারি অর্থাৎ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীর দিন,স্বামীজির মূর্তিতে মাল্যদান করে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।এবং প্রায় সাড়ে ৫০০ জন ছাত্র ছাত্রীদেরকে নিয়ে অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।এছাড়াও এদিন ১০০ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন।একইসঙ্গে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চক্ষু পরীক্ষার শিবিরেরও আয়োজন করা হয় এদিন।এলাকার ক্লাবগুলোর হাতে ফুটবলও তুলে দেওয়া হয়।

পরবর্তী দিন আবৃত্তি এবং কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।এবং শেষ দিনে অঙ্কন প্রতিযোগিতা,কুইজ,আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে পুরস্কার বিতরন করা হয়।তিনজন দুঃস্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়।ন্যাশনাল স্কুল এবং স্যার রমেশচন্দ্র ইনস্টিটিউশনের মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর অধিকারীদের দুজনকে সম্বর্ধনা জানানো হয় এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।এছাড়াও বিষ্ণুপুর স্কুলের ২জন ছেলে এবং মেয়ে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন, তাদেরকেও সম্বর্ধনা জানানো হয়।পাশাপাশি ২৬ টা ক্লাবের হাতে ফুটবল তুলে দেন এদিন অভিজিৎ নস্কর।শুধু তাই নয়,শেষ দিনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৫০০ দুঃস্থ সাধারণ মানুষদের হাতে শীত বস্ত্র উপহার স্বরূপ তুলে দেন এদিন রাজারহাট বিষ্ণুপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অভিজিৎ নস্কর।

শেষ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি,রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর,বিখ্যাত অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু,রাজারহাট বিষ্ণুপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অভিজিৎ নস্কর, মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী ইলাবতী নস্কর,উপপ্রধান রূপা নস্কর,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তাপসী নস্কর,তৃণমূল কংগ্রেসের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের কর্মদক্ষ শবনম নাজ মণ্ডল,রাজারহাট নিউটাউনের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য আফতাব উদ্দিন সহ আরো অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

এদিন সামাজিক কর্মসুচি পালনের সঙ্গে এদিন দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল।অর্থাৎ বলাবাহুল্য,একদিকে সামাজিক,অন্যদিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মঞ্চ পরিণত হয়েছিল চাঁদের হাটে।যা ছিল সত্যিই চোখে পড়ার মতো।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *