সাজ্জাককে ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে!এমনই সন্দেহ করছে মানবাধিকার সংগঠন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি (এপিডিআর)।ইতিমধ্যেই পুলিশের গুলিতে পলাতক বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলমের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করছেন এপিডিআর-র সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শূর।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপেরও দাবি করছেন।

প্রসঙ্গত,গত বুধবার আদালত থেকে জেলে ফেরার সময় রাস্তায় শৌচালয় যাওয়ার নাম করে গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ার কাছে পুলিশকে গুলি চালিয়ে পালিয়েছিল বিচারাধিন বন্দি সাজ্জাদ আলম।তার গুলিতে জখম হয়েছিলেন দুই পুলিশ কর্মী নীলকান্ত সরকার ও দেবেন বৈশ্য।এরপরই বৃহস্পতিবার জেলায় পৌঁছে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাহিনীর মনোবল বাড়াতে ডিজি পরিষ্কার জানিয়ে দেন,-“এবার থেকে পুলিশও গুলি চালাবে।দুষ্কৃতী ২ রাউন্ড গুলি চালালে পুলিশ ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়বে।”ডিজির হুঁশিয়ারির পরই অবশেষে পুলিশের কড়া পদক্ষেপ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ওই এনকাউন্টারের বিষয়েই বিস্তারিত জানান এডিজি আইনশৃঙ্খলা।একই সঙ্গে ওও স্পষ্ট করে দেন,-অপরাধীদের রেয়াত করার প্রশ্নই নেই।পুলিশ সূত্রের খবর, পলাতক বন্দির খোঁজে অন্তত ২০টি টিম তল্লাশিতে নেমেছিল।নজর রাখা হচ্ছিল সিসিটিভিতেও।তারই ভিত্তিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সাজ্জাদের গতিবিধি জানতে পারেন তদন্তকারীরা।সূত্রের দাবি,পুলিশকে দেখে সীমান্ত টপকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত বন্দি।এমনকী পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলিও চালায়।পুলিশের তরফেও পাল্টা গুলি চালানো হয়।পরে ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সাজ্জাদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

যদিও গোটা ঘটনাক্রম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে এরিডিআর।বিবৃতিতে তাঁরা লিখছেন,-“সাজ্জাদকে ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে এ কথা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে বলেই আমাদের মনে হচ্ছে।বিশেষত গত পরশু ডিজি রাজীব কুমারের চারগুণ গুলি চালাবার নিদান দেওয়ার পর ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েই ছিল।”চাইছেন মমতার হস্তক্ষেপ।

এ প্রসঙ্গে এপিডিআর বলছে,-“নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে সন্দেহের অবসান করা দরকার। পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দিন, এটাই আমাদের দাবি।” খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি।বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলছেন,-“পুলিশকে গুলি করেছে তাই পুলিশ এনকাউন্টার করেছে।এই তৎপরতা যদি সব ক্ষেত্রে দেখা যায় তাহলেই চা প্রশাসনের পক্ষে ভাল।” ইতিমধ্যেই আবার এই ইস্যু সাংবাদিক বৈঠক করে ফেলেছে পুলিশ।এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম বলছেন,-“ডিআইজি রায়গঞ্জ রেঞ্জের ডিআইজি সুধীর নীলকান্তমের নেতৃত্বে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় সাজ্জাককে।কিন্তু তখন সে গুলি।পাল্টা প্রতিরোধ করতে গুলি চালায় পুলিশও।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *