মালদহে জমি নিয়ে বিবাদ, আদালতের দ্বারস্থ অসহায় দম্পতি।মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুর এলাকায় জমি নিয়ে বিবাদের জেরে আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছেন এক অসহায় দম্পতি। অভিযোগ উঠেছে সিভিক ভলেন্টিয়ার স্বপন দাসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, স্বপন দাস ও তার পরিবার পটেন দাস ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটেন দাস আর্থিক অভাবের কারণে তার ১৪ শতক জমি কুশিদা এলাকার এক ব্যবসায়ীকে ৯০ হাজার টাকার বিনিময়ে বন্ধক দেন। কিন্তু এক বছর পর এই জমির বন্ধকের টাকা ফেরত না দেওয়ায় ওই ব্যবসায়ী পটেনের কাকি তথা সিভিক ভলেন্টিয়ার স্বপন দাসের মায়ের কাছে বিক্রি করে দেয়। এরপর পটেনবাবু পুনরায় স্বপন দাস ও তার পরিবারের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওই জমি কিনে নেন। কিন্তু ১৪ শতকের পরিবর্তে মাত্র পাচ শতক জমি তাকে ফেরত দেওয়া হয়। আর বাকি ৯ শতক জমি ফেরত চাইতে গেলে সিভিক ভলেন্টিয়ার স্বপন দাস তাকে হুমকি দিতে থাকে।

এরপরেই পটেন দাস চাঁচল মহকুমা আদালতে এই নিয়ে মামলা করলে তাদের পরিবারের উপর হুমকি এবং অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায় বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে সিভিক ভলেন্টিয়ার স্বপন দাসকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। চাকরি চলে যাওয়াতে পটেনবাবুর পরিবারের উপর আক্রমণ বেড়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে পটেন দাস বলেন, “আমি ১৪ শতক জমি বন্ধক রেখেছিলাম কুশিদা এলাকার ব্যবসায়ী বাসুদেব আগরওয়াল এর কাছে। কিন্তু বাসুদেব আগরওয়াল ওই জমিটা আমার কাকির কাছে বিক্রি করে দেয়। আমি টাকা জোগাড় করে ওদের দাবি মত ওই জমি আবার চার লক্ষ টাকায় কিনে নি। কিন্তু পাঁচ শতক জমির দখল দিলেও বাকি ন’শতক জমির দখল দেয়নি। আর এই নিয়ে বলতে গেলে আমার পরিবারের উপর স্বপন দাস নিজের প্রভাব খাটাচ্ছে এবং একের পর এক আক্রমণ করছে। আমার পরিবারকে কুরুচিকর ভাষায় হুমকি দিচ্ছে।”

অন্যদিকে, স্বপন দাস তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। ব্যবসায়ী শনিত আগরওয়াল জানান, পটেন দাস তাদের কাছে জমিটি বিক্রি করেছিল। এখন সে মিথ্যা কথা বলছে। এই নিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে সিভিল মামলা করা হয়েছে।

 

আরো দেখুন:Shovan-Baishakhi: শোভনের সাথে আলাপ হওয়ার পর কি বদল এসেছে বৈশাখীর জীবনে?