মৌসুমের প্রথম ডার্বির প্রথমার্ধ অনিশ্চিতভাবে শেষ হয়েছিল। গোলের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে লড়াই উপভোগ করলেন ফুটবলপ্রেমীরা। মরসুমের প্রথম ডার্বির আগে, ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টদের (East Bengal vs Mohun Bagan) অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিল। তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে দেখা গেল অন্য ইস্টবেঙ্গলকে। যা গত কয়েকটা ডার্বিতে এমনটা দেখা যায়নি।

নতুন দল, নতুন কোচ, খুব বেশি প্রশিক্ষণের সময় না থাকলেও মাঠে কঠোর পরিশ্রমে হাল ছাড়েনি লাল-হলুদ দল (East Bengal vs Mohun Bagan)। ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেছেন, যে মাঠে তার দল জেতার জন্যই নামবে। ইস্টবেঙ্গল দলের প্রথম ইনিংসে এই লড়াকু মনোভাব দেখা গিয়েছিল। মোহনবাগান যে খারাপ ফুটবল খেলেছে তেমনটা নয়।

ডুরান্ড ডার্বিতে হুয়ান ফেরান্দোর দলের কাছে যে ফুটবল আশা করেছিল তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, কিন্তু সবুজ মেরুনদের অ্যাটাকিং লাইন প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার লাল এবং হলুদের রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করে। সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলে স্কোর অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের প্রথমার্ধের লড়াইয়ে সবার নজর ছিল। যদিও খেলার দ্বিতীয়ার্ধে কোচ মোহনবাগানের কাছে সবসময়ই প্লাস পয়েন্টে থাকেন।

নতুন কৌশলে অনেকবার দ্বিতীয় সারিতে প্রতিপক্ষকে হারিয়েছেন ফেরান্দো। এবার তেমনটা দেখা যায় কিনা সেটাই দেখার। ম্যাচের প্রথমার্ধের শুরু থেকেই দারুণ খেলেছে দুই দল। ইস্টবেঙ্গলের সাউল, সিভেরিও, বরহাস মহেশরা একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিল। তবে গোলের মুখ খোলেনি। অনিরুদ্ধর বিরুদ্ধে মনবির, লিস্টন, সাদিকু, হুগো বুমৌসরাও আক্রমণ চালিয়ে যান। তাই গোল না আসলেও ডার্বিতে দুই প্রধানের লড়াই যেটা মাঝে অনেকদিন দেখা যায়নি তা এদিন দেখা গেল যুবভারতীতে। ফেরান্দো এবং কুয়াদ্রাত দ্বিতীয় গেমে একটি নতুন কৌশল তৈরি করবে, ইস্টবেঙ্গল পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারে নাকি মোহনবাগান নয়ে নয় করে তার উত্তর দেবে আগামি ৪৫ মিনিট।

 

আরও পড়ুন:Weather Update: আজ প্রবল বৃষ্টি রাজ্যের ১০ জেলায়!

By Sk Rahul

Senior Editor of Newz24hours