রাজ্য সরকার পুরকর্মীদের বেতন দিলেও,পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না পুরসভার স্থায়ী কর্মীদের বেতন দিতে পারছেন না?অভিযোগ সামনে রেখে বুধবার তুমুল বিক্ষোভ দেখব পুরসভায় স্থায়ী কর্মচারীরা।পুরপ্রধানের পদত্যাগের দাবিও তোলেন তারা।

মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজ সচল রেখে পুর কর্মচারীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। বুধবারও চলে তাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি।

এ বিষয়ে কাঁথি পুর কর্মচারী ফেডারেশনের সম্পাদক রুপ কুমার কয়াল বলেন,-” এই বিক্ষোভটা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। আমাদের বেতন পরিকাঠামো অনুযায়ী রাজ্য সরকার ৮৫% ডিএ সহ দিয়ে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পুরপ্রধান নজরে আনার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি, স্থায়ী কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। বর্তমান পুরপ্রধান পুরকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। প্রকৃত সত্য জানতে চান না “। আরও হুঁশিয়ারি সুরে বলেন ” সবার সিদ্ধান্ত অনুসারে, আমরা অফিস আসবো। অফিসে রেজিস্টারে সই করব, ৩২ বছর ধরে এই পুরসভার কাজ করছি। বিগত দিনে এই ধরনের পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়নি। আমাদের বিক্ষোভ বা ক্ষোভ ওই পুর প্রধানের বিরুদ্ধে। এই পুরপ্রধান একেবারে অযোগ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছি, বর্তমান পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না উদাসীনতা আক্ষেপ “।

কাঁথি পুরসভার ট্রাফিক দায়িত্ব প্রাপ্ত পুরসভার স্থায়ী কর্মী দিলীপ খাণ্ডা বলেন,-“বিগত দিনের তুলনায় আজকের দিনে পুরসভার রেভিনিউ যথেষ্ট পরিমাণ ভালোই হচ্ছে। আমরা জানতে পারলাম রাজ্য সরকার ৮৫% বেতন দেওয়ার কথা সেটা দিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি ডিএ দিয়ে দিয়েছে। সামান্য ১৫ % দিতে পারছেন না। পুরসভা থেকে এত পরিমাণ রিভিউন তোলার পরও আমাদের বেতন দিতে পারছেন না। আমাদের পুরো কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলা ও সম্মান দেন না। ভিতরে কি রহস্য রয়েছে সেটাও বুঝতে পারছি না। পুরপ্রধান অবৈধ ভাবে নতুন কর্মী নিয়োগ করেছে। ওই কর্মী গুলোকে বাদ দিলেই সমাধান হয়ে যাবে। পুরসভা অস্থায়ী কর্মীরা দোকানে গেলে ধার দেয় না। মাসের শেষে যেন পরিশ্রমের পারিশ্রমিকটা পাই “।

এদিকে এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কাঁথি সংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা সোমনাথ রায় বলেন,-” বিগত দিনে কাঁথি পুরসভাতে মানুষ এসে পরিসেবা পায়নি এমন ঘটনা ঘটেনি। যতদিন অধিকারীরা পুরসভায় চালাতেন সুদক্ষ ভাবে পরিচালনা করতেন। সবাইকে সন্তুষ্ট করে কাঁথি পুরসভা বাসিন্দাদের পরিষেবা দিচ্ছিলেন এটা ঐতিহাসিক সত্য। আজকের দিনে অস্থায়ী থেকে স্থায়ী কর্মচারীরা ও বেতন পাচ্ছেন না। এতদিন তৃণমূল জানতাম বালি এবং কয়লা চুরি করে খায়। আজকের দিনে বেতন চুরি করে ও খাওয়া শুরু করেছে। অদ্ভুত তৃণমূল দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়া পুরসভাতে পড়েছে বলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে “।

যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো উত্তর দিতে পারেনি কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না!

 

আরো পড়ুন:Koromondol Express : আতঙ্কের রেশ কাটতে‌ না‌ কাটতেই থমকালো করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চাকা