পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড়ো ধাক্কা দিয়ে তৃণমূল ভাঙন মালদার (Malda) হবিবপুরে।বৃহস্পতিবার বিকেলে তৃণমূলের দুলাল চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে আঞ্চলিক স্তরের পদাধিকারী বেশ কিছু নেতানেত্রী-সহ শতাধিক কর্মী সমর্থক যোগদান করেন বিজেপি-তে। হবিবপুরের দাল্লা গম্ভীরাতলা বাজার এলাকায় বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক জয়েল মুর্মু তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। এদিনের তৃণমূল ত্যাগীদের ঘোষিত নামের তালিকায় ছিলেন, ১০ বছর ধরে আঞ্চলিক যুব সভাপতির দায়িত্ব সামলানো এবং তৃণমূলের আঞ্চলিক বুথ সাধারণ সম্পাদক দুলাল চন্দ্র রায়-সহ শতাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থক।

বিজেপিতে যোগদান করার পর শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দুলাল চন্দ্র রায় বলেন,আমরা দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে কাজ করে আসছি। আমাদের মধ্যে প্রাক্তন সহকারী জিএসটি কমিশনার অরবিন্দ বিশ্বাস সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও রয়েছেন। যাঁরা তৃণমূল দলটা করতেন। কিন্তু বর্তমানে আমাদের মতো অনেককেই দলের ভেতর দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় রুষ্ট ছিল নেতৃত্ব। তাই আমাদের গুরুত্বহীন করা হচ্ছিল। একদিকে সংগঠনে গুরুত্বহীনতা, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়ন ও বিজেপি’র আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই আমরা শতাধিক কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করলাম। আজ থেকে তৃণমূলের ভাঙন শুরু হলো। শুধু সময়ের অপেক্ষা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরও বড়ো ভাঙন দেখবে এলাকার মানুষজন।

এ প্রসঙ্গে বিজেপি’র বিধায়ক জয়েল মুর্মু বলেন,দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে তৃণমূল। থাকতে পারছেন না ভালো মানুষ। তাই শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষজন দুর্নীতির প্রতিবাদ করে মালদহের হবিবপুরের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের আঞ্চলিক নেতা কর্মী সহ প্রায় শতাধিক কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করলেন।

উল্লেখ্য, আর কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সম্ভাবনা। তার আগে নিজেদের দলীয় সংগঠন মজবুত করে নিতে চাইছে শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরই। সেই সাথে চলছে পালাবদলের খেলাও। তবে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় এমন পালাবদল যে রাজনৈতিক শোরগোল তৈরি করছে তা প্রায় সকলেরই জানা।

 

আরো পড়ুন:KKR vs RCB : হোমগ্রাউন্ডে প্রথম জয়, ৮১ রানে ব্যাঙ্গালোরকে হারাল কলকাতা