দৈনন্দিন দিনে পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী যেন মেলায় ভার। আজ কালকার দিনের নিত্য নৈমিত্তিক বাজারজাত জিনিস একটা মানব দেহের জন্য যথাযথ পুষ্টিকর নয়।তাই পুষ্টিকর খাবারকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মধ্যেই নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পশ্চিমবঙ্গের সরকার।সেই রকমই এক পরিকল্পনা আজ বাস্তবায়িত হল বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখীতে।

এদিন সোনামুখী কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের তরফ থেকে চারটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের চারটি করে ইলেকট্রিক ঢেঁকি প্রদান করা হয়।আসলে এর মূল উদ্দেশ্য,শুধুমাত্র কম সময়ে বেশি পণ্য উৎপাদনই নয় বাজারে পুষ্টিকর খাবারের যোগানও এর আরেকটি অন্যতম উদ্দেশ্য।এদিন বাঁকুড়ার সোনামুখী বিজ্ঞান কেন্দ্রে বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক এবং কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের সঞ্চালকের উপস্থিতিতে চারটি মহিলা গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক চালিত ঢেঁকি প্রদান করা হয়।

এই প্রসঙ্গে সোনামুখী কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র সঞ্চালক ডঃ মৌমিতা দে গুপ্ত জানান,-স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের বেশি করে উদ্যোগী করতেই তাদের এই প্রয়াস।এবং যতটা সম্ভব কম সময়ে বেশি পরিমাণ চাল উৎপাদন এটাও তাদের উদ্দেশ্য।পরবর্তীতে এই উদ্যোগ বৃহৎ আকারে নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত জানান,-শুধুমাত্র কম সময়ে বেশি পন্য উৎপাদন নয়।পুষ্টিকর খাবার প্রদান করাও আরেকটি উদ্দেশ্য এই প্রকল্পের।

এদিন কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের তরফ থেকে এই ধরনের উপহার পেয়ে বেজায় খুশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।তারা জানান,-প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে ঢেঁকি ছাঁটা চাল যাতে পৌঁছে দেওয়া যায়,তার চেষ্টা তারা করবে।

 

আরো পড়ুন:Malda:ছাত্রকে শাসন করায় খেসারত,বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষিকাকে বেধরক মারধর ছাত্রের পরিবারের