অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পচা ডিম ও অনিয়মিত খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও রাঁধুনী কে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় অভিভাবকেরা।ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল এগারোটা নাগাদ মালদা (Malda) জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর গ্রামের এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।
স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ,ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বরাবরই নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়।এর পূর্বেও লকডাউনের সময় ওই সেন্টারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খাবার ও পঁচা আলু দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।এবার শিশুর পাতে দুর্গন্ধযুক্ত পচা ডিম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সমাধান হচ্ছে না।তারা এই সম্পূর্ন বিষয়টির জন্য বিশেষ করে দায়ী করেছেন ওই কেন্দ্রের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনতি দাসকে নিয়ে।
সেখ মানা নামে এক অভিভাবক বলেন,’এদিন সেন্টার থেকে দুর্গন্ধযুক্ত পচা ডিম দেওয়া হচ্ছিল, যা মুখে তোলা যায় না।পচা ও নিম্নমানের খাবার খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।বলতে গেলে কোনো কর্নপাত করছেন না ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী গর্ভবতী মা ও প্রসূতি মায়েরা গোটা ডিম পাওয়ার কথা থাকলেও তা পাই না।কোন কোন দিন শুধু সাদা ভাত ও কাঁচা ডিম দেওয়া হয়।এমনকি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ছুটি রাখা হয় ওই সেন্টার।’
রনি আলি নামে আরো এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন,এই সেন্টার থেকে নিয়মিত নিম্নমানের খাবার ও পচা ডিম দেওয়া হয়। সেন্টারের কর্মীকে বলতে গেলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে।আজকে সাদা ভাত ও সিদ্ধ পচা ডিম শিশুদের দেওয়া হয়েছিল।স্থানীয়রা বলতে গেলে পচা ডিম ও ভাত গুলি পুকুরে ফেলে দেই ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বলে অভিযোগ।
এদিকে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনতি দাস জানান,- সেন্টার থেকে নিয়মিত শিশুদের খাবার দেওয়া হয়। আজকেও খাবার দেওয়া হয়েছিল।পচা ডিম দেওয়ার অভিযোগটি সরাসরি মিথ্যা।তাকে ফাঁসানোর একটা চক্রান্ত হয়েছে।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনতি দাস জানান,সেন্টার থেকে নিয়মিত শিশুদের খাবার দেওয়া হয়। আজকেও খাবার দেওয়া হয়েছিল।পচা ডিম দেওয়ার অভিযোগটি সরাসরি মিথ্যা।তাকে ফাঁসানোর একটা চক্রান্ত বলে জানান।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের CDPO আব্দুল সাত্তার জানান,স্থানীয়দের কাছ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
এদিকে,স্থানীয় অভিভাবকেরা এদিন আরো অভিযোগ করে বলেন,বিনতি দাস সংবাদ মাধ্যমের কাছে পচা ডিম দেওয়ার কথাটি সরাসরি অস্বীকার করলেও ওই সেন্টারের রাঁধুনী শুক্লা দাস পচা ডিম দেওয়ার কথাটি স্বীকার করে নিয়েছেন।এখন এই ঘটনা কোন দিকে মোড়,সেটাই দেখার।
আরো পড়ুন:Tithi Basu: অবশেষে ভাইকে এতদিন পর ফিরে পেলেন তিথি!