আঁটোসাঁটো কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ২০২৩ এর মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik 2023 Exam)।প্রতিবছরের মতো এবারও প্রথম পরীক্ষা ছিল বাংলা।জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার প্রথম দিনে হাসি মুখেই পরীক্ষার্থীদের হল থেকে বের হতে দেখা গিয়েছিল।পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছে, প্রশ্নপত্রের উত্তর দিতে কোনও সমস্যা হয়নি তাদের।তবে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের মতামত কি?

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এদিন সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে বিরাটি হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক অঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, ‘যথারীতি সহজ প্রশ্ন এসেছে। প্রশ্ন ভালো হয়েছে। কয়েকটি প্রশ্ন ছাত্র-ছাত্রীদের একটু ভেবে গুছিয়ে লিখতে হবে। অর্থাত্‍ ভেবে লিখতে হবে পড়ুয়াদের। যেমন – বাংলাভাষায় বিজ্ঞানচর্চা পাঠ্যের উত্তরটি। বঙ্গানুবাদে ডিলিজেন্ট ছাড়া সকল শব্দের অর্থ ছাত্র-ছাত্রীদের জানার কথা। রচনা একেবারে গতে বাঁধা।’কলকাতার পাঠভবন স্কুলের বাংলার শিক্ষক সপ্তর্ষি রায় বললেন, ‘এবারের প্রশ্নপত্র বেশ সহজ হয়েছে। সহজ বলছি কারণ সমস্ত মানের ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই প্রশ্নপত্র করা হয়েছে। একটু খুঁটিয়ে পড়লেই উত্তর লেখা সম্ভব। এছাড়াও, এমসিকিউগুলিও একেবারেই সহজ এসেছে। ব্যাকরণের প্রশ্নও একেবারে প্রাথমিক স্তরের করা হয়েছে। রচনার ক্ষেত্রেও সব মানের ছাত্রছাত্রীদের উত্তর দেওয়ার মতো করেই বিষয় দেওয়া হয়েছে। আবার একইসঙ্গে সৃজনশীল বিষয়কেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে সবার কথা ভেবেই এবারের প্রশ্নপত্র করা হয়েছে।’

অন্যদিকে বিধাননগরের বিকে ব্লকের আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র হাইস্কুল ফর বয়েজের বাইরে এক ছাত্র জানিয়েছে, ‘পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে। প্রশ্ন একেবারে কমন এসেছিল। একদম সহজ প্রশ্ন এসেছিল। এবার একেবারে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। যারা প্রতিটি গদ্য এবং বই খুঁটিয়ে পড়েছে, তাদের কাছে একদম সহজ প্রশ্ন। খুব ভালো হয়েছে পরীক্ষা।’ একইসুরে এক ছাত্র বলেছে, ‘প্রশ্ন মনের মতো হয়েছে। খুব ভালো হয়েছে পরীক্ষা।’

উল্লেখ্য,এবছর গণ টোকাটুকি রুখতে আগেভাগে তত্‍পর পর্ষদ।আগেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে একাধিক নির্দেশিকা চালু করা হয়েছিল।অসাধু আচরণ ঠেকাতে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে ছিল সিসিটিভির নজরদারি।পাশাপাশি এদিন ট্রাফিক পুলিশদেরও বেশ সজাগ থাকতে দেখা গেছে।মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সেন্টারে পৌঁছতে যাতে কোনওভাবেই সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় সেজন্য তারা বেশ তত্‍পর ছিল। পাশাপাশি এদিন শহরে কোনও বড় মিটিং, মিছিল বা জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হয়নি।এছাড়াও পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির সামনে ছিল কড়া সুরক্ষা ব্যবস্থাও।জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় পড়ুয়াদের মানসিক চাপ মুক্ত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।পাশাপাশি শহরের কিছু পৌর প্রতিনিধিরা এদিন পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেন গোলাপও। প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী এদিন মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন। প্রথম দিনের জীবনের বড় পরীক্ষায় এবছরের কোনো পড়ুয়াদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

 

আরো পড়ুন:Madhyamik 2023:শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা,প্রশ্ন ফাঁস রুখতে কড়া পর্ষদ