দুয়ারে দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat vote)।এদিকে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছেন সরকারি কর্মচারীরা।বকেয়া ডিএ ইস্যুতে বারে বারে আদালতে মুখ পুড়ছে রাজ্যের।এমন আবহে আজ ২০২৩-২০২৪ আর্থিক বর্ষের বাজেট (Budget) পেশ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সৈনিক অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)।দুপুর দুটো নাগাদ বিধানসভায় বাজেট পেশ করবেন তিনি।

নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ এবার বাড়াতে চায় রাজ্য। পাশাপাশি, প্রকল্পগুলির পরিধি আরও প্রসারিত করে রাজ্যবাসীর হাতে নগদের জোগান বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করা হতে পারে এই বাজেটে।

নবান্ন সূত্রে খবর, একাধিক সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্পে গত বছরের তুলনায় ১০% আর্থিক বরাদ্ধ বৃদ্ধি করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কৃষক বন্ধু, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, জয় বাংলার মতো একাধিক প্রকল্পগুলি বিশেষ করে অগ্রাধিকার পেতে চলেছে এবারের বাজেটে। আর তেমনটা হলে বাড়বে রাজ্যের খরচও। সাধারণ মানুষের উপর কোনও বাড়তি বোঝা না চাপিয়ে রাজস্ব খাতে আয় বাড়ানো এবার আরও চ্যালেঞ্জ নবান্নের কাছে।

এদিকে বছর ঘুরলেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যাবে লোকসভা নির্বাচনের। যা তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে ঋণ শোধ সামলে কতটা সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো যায় এখন সেটাই দেখার। কারণ গোটা বিষয়টির পরিকল্পনা করতে হবে এখন থেকেই। দিদির দূত কর্মসূচিতে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের সামনে গ্রামের সমস্যার কথা বারবার তুলে ধরেছেন সাধারণ মানুষ। সেই সমস্যা কতটা সমাধান হবে সেটা এই বাজেট পেশের পরই জানা যাবে।

 

আরো পড়ুন:TMC:মদ বিক্রির প্রতিবাদে শ্লীলতাহানির অভিযোগ শাসক দলের কর্মীর বিরুদ্ধে