শুক্রবার ছিল সুজন চক্রবর্তীর সভা।কিন্তু সেই সভার আগেই সিপিআইএম (CPIM) তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার কেমিয়া-খামারপাড়া পঞ্চায়েতের কলুপাড়া এলাকা।সিপিআইএম কর্মীদের ওপর মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।এমনকি তছনছ করার অভিযোগ উঠল মঞ্চ ও সভার মাইক।জানা গিয়েছে,এদিনের এই ঘটনায় আহত হয়েছে ১২ জন সিপিআইএম কর্মী।তাঁদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।এদিকে এই হামলার অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা সিপিএমের বিরুদ্ধেই এলাকায় গন্ডগোল পাকানোর অভিযোগ এনেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।তবে,অশান্তির পরও সভা করতে মরিয়া সিপিএম নেতৃত্ব।নতুন করে মঞ্চ বেঁধে যথারীতি স্থানে এদিন বিকেলে সভা হয়েছে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর।

তবে এদিনের এই হামলা,মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে কলুপাড়া সংলগ্ন বাদু রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান সিপিআইএমের কর্মীরা।রাস্তার মাঝখানে গাছের গুড়ি ফেলে আগুন ধরিয়ে সরব হন তাঁরা।ঘন্টা খানেক অবরোধ চলার পর পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেয় সেখান থেকে।এরপর,নতুনভাবে আবারও মঞ্চ বেঁধে কলুপাড়াতেই সভা হয় সিপিআইএমের।যেখানে বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী,জেলা সম্পাদক মৃনাল চক্রবর্তী,প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য সহ জেলা সিপিএম প্রথম সারির নেতারা।

এই বিষয়ে এদিন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন,”এত ভয় কিসের? সিপিআইএম সভা করবে,তাতেও হামলা চালাতে হবে তৃণমূলকে।শাসনে সিপিআইএমের মিছিলে জনসমাগম দেখে ভয় পেয়েই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে কলুপাড়ায়।ঘটনার পরও দলীয় কর্মীদের বাহবা দেব।যেভাবে তাঁরা রুখে দাঁড়িয়ে ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন করেছে।ওই জায়গাতেই আবারও সভা হবে আমাদের।”

অভিযোগ অস্বীকার করে বারাসত ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি শম্ভু ঘোষ বলেন,”সিপিআইএম সভা করবে ঠিক আছে।তাই বলে গোটা এলাকাজুড়ে লাল ঝাণ্ডায় মুড়ে ফেলতে হবে!আসলে এসব করে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে সিপিএম নেতৃত্ব।মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন।উল্টে,আমাদের ছেলেদেরই মারধর করা হয়েছে।পুলিশ গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে সেটাই চাইছি আমরা।”

 

আরো পড়ুন:Gautam Pal:প্রকাশিত হল টেটের ফল,প্রথম ১০ এর মধ্যে ১৭৭ জন