১৭ ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজত কুন্তল ঘোষের (Kuntal ghosh)।শুক্রবার আবারও নগর দায়রা আদালতে কুন্তলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর একাধিক তথ্যপ্রমাণ আদালতের সামনে পেশ করে ইডি।এদিকে আদালতে কুন্তলের আইনজীবী তার জামিনের আবেদন করেন।বলেন,-১৪ দিন তাঁর মক্কেল ইডির হেফাজতে রয়েছেন।তার পরেও তদন্তে তেমন অগ্রগতি হয়নি।তাই এ বার কুন্তলকে জামিন দেওয়া হোক।কিন্তু ইডি জামিনের বিরোধিতা করেন।

কুন্তলকে কেন জামিন দেওয়া যাবে না,তা জানিয়ে কয়েক দফা কারণ জানায় এদিন ইডি।তদন্তকারীরা বলেন,-অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে যোগ রয়েছে কুন্তল ঘোষের।এছাড়াও এদিন আদালতে লিখিত ভাবে ইডি কর্তারা জানায়,-কুন্তল যেমন চাকরি দেওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদের থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন।চাকরি বাঁচানোর মামলার জন্যও টাকা নিয়েছেন একই ভাবে।ইডির দাবি, নবম-দশম শ্রেণি এবং উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের জন্য প্রতি চাকরিপ্রার্থীর থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন কুন্তল।সব চাকরির রেট সমান ছিল না।স্কুলে বিভিন্ন চাকরির ধরন অনুযায়ী নির্ধারিত হত বিনিময়মূল্য।তবে কুন্তল শুধু চাকরি দিয়েই দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেননি।ইডি দাবি করেন,১৩০ জনের থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কুন্তল।প্রায় ১২০০ স্কুলের চাকরিপ্রার্থীর থেকে মাথাপিছু ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন কুন্তল তাঁদের মামলা লড়ার জন্য। সব মিলিয়ে সেখান থেকেই ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা আসে তাঁর হাতে।

ইডি আদালতে আরও জানায়,চাকরি দেওয়ার নামে কুন্তল ৩০ কোটি টাকা তুলেছেন।এরপরই ইডি দাবি করে,বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার চক্রে সরাসরি যোগ রয়েছে কুন্তলের।টাকা তুলে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।কুন্তল ও সহযোগীদের মাধ্যমে পার্থ ও অন্যান্য প্রভাবশালীদের কাছে টাকা গিয়েছে।আরো বলেন,-কুন্তলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিটের সংখ্যা ৩০ নয়, ২৫০!ইডির এইসব অভিযোগের পর কুন্তলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইডি হেফাজতের থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় কুন্তলকে।

 

আরো পড়ুন:Kuntal Ghosh:বিজেপির সঙ্গে যোগ তাপসের,সব বলব!কুন্তল