সৌমিত্র খাঁর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের পেছনে অন্য এক নারী। শুক্রবার বাঁকুড়া জেলা আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল।তার দাবি, “আমি থাকতে আমার স্বামী অন্য একজনকে নিয়ে ঘর সংসার শুরু করেছিল!” প্রশ্ন তুলেছেন, ”ডির্ভোস হননি। তার আগে কি করে ওর পেজে লিখে রাখেন, ডাইভোর্স?”
এদিন সুজাতা আরো বলেন, “আমি যখন দল ছেড়েছিলাম তখন ওর গ্লিসারিন দেওয়া কান্নায় অনেকেই ভুল ভেবেছিলেন। সেদিন আমি সব সহ্য করেছিলাম কারণ আমি বুঝেছিলাম আমাকে বাঁচতে হবে। আপনাদের সবাই আশীর্বাদে আমি বেঁচে রয়েছি। আর আমি বাঁচলেই লড়াই করতে পারব। আমি থাকতে থাকতেই অন্য এক নারীকে তিনি জীবনে জায়গা দিয়েছেন। যার জন্যই উনি ডিভোর্সের আবেদন করেছিলেন। আমি সেদিন ভেবেছিলাম উপরওয়াল এর বিচার করবে। ওঁর পরিবারের অত্যাচার বহু বছর সহ্য করেছি।ভেবেছিলাম স্বামীর জন্য সবকিছুই সহ্য করা করা যায়। সেভাবেই ছিলাম। কিন্তু তিনি অনেকদিন আগে থেকেই অন্য এক নারীকে নিজের জীবনে স্থান দিয়ে রেখেছিলেন। তিনি হলেন শিলিগুড়ির বিজেপির জেলা সভাপতির স্ত্রীর সঙ্গে তিনি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।”
এদিকে এরপরই পাল্টা জবাবও দেন সৌমিত্র খাঁও। লতিনি বলেন, “জীবন থেমে থাকেনা, কে কি বললো তাতে কিছুই যায় আসে না। মানূষের জন্য কাজ করাই উদ্দেশ্য।কার কী অভিযোগ রয়েছে তা আমার দেখে লাভ নেই। পার্সোন্যাল বিষয় নিয়ে কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। বিষ্ণপুর লোকসভা নিয়ে কাজ করছি। এটাই আসল কথা। তৃণমূল কংগ্রেস আমার জীবনের জঘন্যতম অধ্যায়। তাই সেখানে যারাই যাবে তাদের আমি পছন্দ করি না।”
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই বড়জোড়ার বাসিন্দা সুজাতা মন্ডলকে বিয়ে করেন বিষ্ণুপুরের তত্কালীন তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে সৌমিত্র বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রচারে নামতে পারেননি। সেই সময় সুজাতা স্বামীর হয়ে প্রচারে নামেন। ২০১৯ সালে সুজাতার কাঁধে ভর করেই নির্বাচনী বৈতরনী পার করেন সৌমিত্র। নির্বাচনে জয়ের পরই ধীরে ধীরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে দুজনে আলাদা থাকতে শুরু করেন। এরপর সৌমিত্র সুজাতার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা গড়ায় আদালতে। আজ সেই মামলার শুনানি ছিল বাঁকুড়া জেলা আদালতে।
আরো পড়ুন:Kuntal Ghosh:বিজেপির সঙ্গে যোগ তাপসের,সব বলব!কুন্তল