মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বারাসাতে (Barasat) দু-দিন ব্যাপী শুরু যাত্রা উৎসব।এদিন বারাসাতের কাছারি ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ২৭ তম যাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস!এদিনের এই অনুষ্ঠানে অরূপ বিশ্বাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, রথীন ঘোষ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক, সুজিত বোস, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, জেলাশাসক শরৎকুমার ত্রিবেদী, পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখার্জি, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বারাসাত পুরসভার পুরপ্রধান অশিনী মুখার্জি, মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ সহ প্রমুখরা।উদ্বোধনের পাশাপাশি এদিনের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শীত বস্ত্র প্রদান করা হয়!
আজকের সেলুলয়েড যুগে যাত্রাপালা আমরা প্রায় ভুলতেই বসেছি। আগের মত উৎসবের মেজাজে শীতের চাদর মুড়ি দিয়ে রাত জেগে যাত্রা দেখা আর বোধহয় নেই। বীনা দাশগুপ্ত, স্বপন কুমার, শান্তিগোপাল, মনোজকুকার, পঞ্চু সেন, রাখাল সিংহ, জোৎস্না দত্ত, শেখর গাঙ্গুলি-র মত স্বনামধন্য যাত্রা শিল্পীদের সেই শিহরণ জাগানো অভিনয় যারা দেখেছে তারাই জানেন যাত্রার ঐতিহ্য।আর যাত্রা প্রেমীদের সেই সুখ দিতেই ফের জয় যাত্রা উৎসবের আয়োজন হল এদিন।
এদিন অরূপ বিশ্বাস বলেন,-গত ৩৪বছরে ধ্বংসস্তুপে পৌঁছে গেছিলো যাত্রা উৎসব।কিন্তু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর জাদুকাঠিতে আমূল পরিবর্তন হয়েছে এখন যাত্রার।৩২দিন ব্যাপী যাত্রা উৎসব চলবে রাজ্যে,তারমধ্যে বারাসাতে দু দিন চলবে যাত্রা উৎসব।তিনি আরও বলেন,-বাম আমলে বিনাদাসগুপ্ত স্মৃতি পুরুস্কার ছিলো বাৎসরিক ২০ হাজার টাকা,কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেটাকে বাড়িয়ে ৫০হাজার টাকা করে দিয়েছে।সারারাজ্যে যাত্রার সাথে জড়িয়ে আছে ৫ লক্ষ্য মানুষ।এছাড়াও ২০০৯-২০১০সালে বাম আমলে মাত্র ৮০জন হাজার টাকা করে ভাতা পেতো।এখন সেই ভাতা ২৫ হাজার মানুষ পাচ্ছে।আগে সারাবছরে যাত্রা পালা হতো ১৫-২০টা,এখন সেটা বছরে দাঁড়িয়েছে ৫০-৬০টা।এছাড়াও যাত্রা উৎসব গ্রামে গ্রামে করতে গেলে প্রশাসনিক অনুমতির দরকার হতো,এখন সে বিষয়ে আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
আরো পড়ুন:Tapas Mondal:আজ মুখোমুখি বসিয়ে জেরা চললো তাপস-কুন্তলর