উত্তর কলকাতায় কার্যত দাদা-ভাই হিসেবে পরিচিত ছিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ও সজল ঘোষের মধ্যে।তবে এখন তারা আলাদা দলে।তবে সব বিবেদ ভুলে বড়দিনের সন্ধ্যায় কার্নিভালে তুমুল আড্ডা দিলেন কুণাল ও সজল ঘোষ।

বড়দিনের বিশেষ অনুষ্ঠান ছিল মানিকতলার উদয় সোশ্যাল সার্ভিস সেন্টারের। এর প্রধান উদ্যোক্তা এবং নিহত উদয়ের ভাই হলেন বিজেপি নেতা ও দলের পদচ্যুত উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি শিবাজী সিংহ রায়। কার্নিভালে আসার জন্য তিনি আমন্ত্রণ করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh)। রবিবার সন্ধেয় নৈহাটি ও কাঁকুড়গাছির কর্মসূচির পর রাতে কুণাল যান শিবাজীবাবুর আমন্ত্রণ রক্ষায়। এটি তাঁর বাড়ির কাছেই। তখন ভরপুর গানবাজনা চলছে। সঙ্গে নৈশভোজ।

অনুষ্ঠানে পৌঁছেই কুণাল দেখতে পান, গোলাপি জামা, হাফ কোট আর ডান হাতে হলুদ সুতো বাঁধা তাঁরই পরিচিত আরও একজনকে। বর্তমানে তিনি অন্য রাজনৈতিক দলের সদস্য। কলকাতা পুরসভার বিজেপি দলের কাউন্সিলর, সজল ঘোষ।

এরপরেই দুই ঘোষের চুটিয়ে আড্ডা শুরু। কোথা থেকে সে ৪৫ মিনিট কেটে গিয়েছে বুঝতে পারেননি দুই নেতাই। সূত্রের খবর, উত্তর কলকাতার বিজেপির উত্তর শহরতলির কো-অর্ডিনেটরের সঙ্গে, তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার এই আড্ডায় মাঝেমধ্যে যা বিরতি এসেছে, তা হল ফিশ ফ্রাই ও পাওভাজির দৌলতে। কুণাল ঘোষ খেয়েছেন হাফ ফিশ ফ্রাই, সজল ঘোষ খেয়েছেন পাওভাজি।

মূলত,বর্ষীয়ান শিবাজীবাবুর সঙ্গে কুণালের দীর্ঘ যোগাযোগ। কুণাল গেছেন শুনে চলে আসেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরাও। কুণাল (Kunal Ghosh) বলেন,’ এটি অরাজনৈতিক মঞ্চ। পার্টি যার যার, উত্‍সব সবার।আর শিবাজীদা যদি বিজেপি নেতা হয়েও আমাকে আমন্ত্রণের সৌজন্য দেখাতে পারে, তাহলে পাল্টা সৌজন্য দেখানোর মানসিকতা আমরাও রাখি।” সজল বলেন,” শিবাজীদার আমন্ত্রণে এসেছি। গৃহকর্তা কাকে কাকে আমন্ত্রণ করবেন, সেটা তাঁর বিষয়। কুণালদা এসেছিলেন, দেখা হয়েছে।” শিবাজী বলেন,” কুণাল তো এলাকার ছেলে। কতদিনের সম্পর্ক। একটু বড় করে বড়দিনের অনুষ্ঠান করলাম, তাই ওকে আমন্ত্রণ করেছিলাম।”

 

আরো পড়ুন:Sweta Bhattacharjee: নন্দনে জায়গা পেলোনা প্রজাপতি, কি বললেন ছবির নায়িকা শ্বেতা?