অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া আটকাতে রাজ্যের মমতার পুলিশ মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে রাতারাতি মামলা সাজিয়ে অনুব্রতর দিল্লি যাওয়া রুখে দিল। মঙ্গলবার মালদার এক জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এমনই বার্তা দিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, এতদিন রাজ্যের পুলিশ কোন তথ্য পেলেন না। হঠাৎ করে তথ্য পেয়ে গেলেন যে তৃণমূলের কর্মীকে নাকি অনুব্রত গলা টিপে মারার চেষ্টা করেছে। তার অভিযোগে তাকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজত দেয় আদালত।
ব্যাপারটা যে পুরোটা নাটকীয় তা পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যায়। এক বছরের আগের ঘটনা হঠাৎ করে রাতারাতি পুলিশ তার নামে মামলা সাজানো এবং অনুব্রত জামিন না নেওয়া থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল যে শাসক শিবির অনুব্রতকে বাঁচাতে এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এই জনসভা থেকে পুলিশকে আক্রমণ করতে গিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম দাবি তোলেন, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএসএফ জওয়ান এবং রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী তথা পুলিশের সহযোগিতা না থাকলে কোনোভাবেই এই চুরি সম্ভব হতো না। বা গরু চুরি কোনভাবেই আন্তর্জাতিক রূপ পেতো না।
এর পাশাপাশি মোহাম্মদ সেলিম অভিষেক এবং মমতা ব্যানার্জী কেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, দিল্লি গেলে অনুব্রত সব পর্দা ফাঁস করতো। কালীঘাটের অভিষেক থেকে নবান্নর মমতা সবার নাম বলতো কেষ্ট।তাই তার নামে নতুন মামলা করে তার দিল্লি যাওয়া রুখেছে তৃণমূল। তবে এই বিষয়ের রাজনৈতিক মহলের ধারণা, গতকালের ঘটনা যেভাবে দিল্লির পথ থেকে অনুব্রতকে ফেরত আনা হল নতুন মামলার জন্য, তার থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় এক বছর আগেকার মামলা জন্য অনুব্রতর দিল্লি যাওয়ার রাস্তায় বাঁধা হয়ে গেল।
আরও পড়ুন : Anubrata Mondal:তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টা মামলায় সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে অনুব্রত