হেভিওয়েট নেতাদের পাশাপাশি গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ইডির (ED) নজরে রাজ্যের একাধিক পুলিশ অফিসারও।ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলায় এবার ইডির স্ক্যানারে ৫ আইপিএস (IPS) অফিসার। তালিকায় রয়েছেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও বীরভূমে (Birbhum) দায়িত্ব সামলানো প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকরা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদা সম্পন্ন ২ আইপিএস, ২ পুলিশ সুপার। আইপিএস হুমায়ুন কবীর তথা বর্তমানে তৃণমূলের বিধায়ককেও ডেকে পাঠানো হতে পারে। পাঁচ আইপিএস অফিসারকে ডিসেম্বরের ৩ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে দিল্লিতে (Delhi) ডেকে পাঠানো হতে পারে বলে খবর।

অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে ইডির তদন্ত জারি রয়েছে।এর মধ্যেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সঞ্জীব মজুমদারকে তলব করেছে ইডি।বীরভূমের বেতাজ বাদশাহর ঘনিষ্ঠদের জেরা করা হচ্ছে।এর মধ্যেই জানা যায়,সঞ্জীব মজুমদার অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন।এবার সেই টাকা কেন পাঠানো হয়েছিল এবং কত টাকা পাঠানো হয়েছিল তা নিয়েই তদন্তে নেমেছে ইডি।

উল্লেখ্য,গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনেও সিবিআইয়ের পর ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।এছাড়া প্রাক্তন বিএসএফ কমান্ডার সতীশ কুমার,ব্যবসায়ী এনামুল হকের মতো হেভিওয়েটদের জালে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।ফলে এই চক্রের সঙ্গে কোনওভাবে পুলিশ প্রশাসনের যোগ রয়েছে কিনা,তা খতিয়ে দেখতে চায় ইডি।

এদিকে এই পুরো বিষয়টি প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বলেন,”গরু আসছে কোথা থেকে? পশ্চিমের রাজ্য থেকে।কেন্দ্রের পুলিশ।গরু কি উড়ে আসে?হেঁটে আসলে তাদের পুলিশ কিছু করতে পারছে না?অমিত শাহের পুলিশ আছে।আসছে অন্য রাজ্য থেকে,অমিত শাহের বিএসএফ পাহারায়।তাহলে এই প্রশ্ন কোথা থেকে?বিজেপির নির্দেশে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকাডাকি করছে।বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষার জন্য এজেন্সি অন্য কথা বলুক।”

 

আরো পড়ুন:Satabdi Roy:জেলে অনুব্রত!আসানসোল আদালতে আইনজীবী হয়ে হাজির শতাব্দী